শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৫৭ সকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুবিতে নেশা করে জুনিয়রদের রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ

বাংলা ট্রিবিউন : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দ্বিতীয় বর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে নেশা করে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজ বর্মন বিধান, মিনহাজুর রহমান, ফাহাদ রহমান অঝোর, মশিউর রহমান রাজা এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাবেরুল বাশার নিরব। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০৭ নম্বর রুমে এই ঘটনা ঘটে।

২৯ জানুয়ারি (বুধবার) এই ঘটনায় ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন দ্বিতীয় বর্ষের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা। অভিযোগকারীরা হলেন আখতারুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, আশিকুর রহমান, মহিদুজ্জামান, তানজিম হাসান অপু, হাবিবুর রহমান ও রাকিব হাসান।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে তারা খেলার মাঠে ও অন্যান্য জায়গায় মিটিং এর নামে মানসিক হেনস্তার শিকার হচ্ছিলেন। যার ক্ষোভ থেকে তারা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজাকে আপত্তিকর দুইটি মেসেজ পাঠান। এই ঘটনায় রাজা এবং তার সহযোগীরা রাতভর দফায় দফায় তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। তারা দাবি করেন, গত এক বছর ধরে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিরুপ আচরণ করে।’

অভিযোগকারীরা আরও বলেন, ‘মারধরের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে পাঁচ জনের জোরপূর্বক লিখিত বিবৃতি ও স্বাক্ষর নিয়ে তা ভিডিও করা হয়। এসময় রাজাসহ অন্যরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিল।’

অভিযুক্তদের মধ্যে মশিউর রহমান রাজার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।

ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক এ আর এম মুস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে প্রফেসর ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির মিটিংয়ে অভিযুক্তদের নামে পূর্বেও এ ধরনের অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছে কয়েকজন শিক্ষক।’

ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর শরিফ হাসান লিমন বলেন, ‘অভিযুক্ত কয়েকজনের নামে আগেও মাদক সেবনের বিষয়ে মুচলেকা দিয়েছিলেন।’

উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের নামে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা এক প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়