সৌরভ ঘোষ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরুর প্রতি অমানবিক আচরণ কোন ভাবেই কমছে না। দু’দেশের সীমান্তে নজরদারী বাড়ায় চোরাকারবারীরা গরু পাচারে বেছে নিয়েছেন ভিন্ন কৌশল।
তারা রাতের অন্ধকার আর ঘন কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে কলা গাছ অথবা কাশ-খড়ের ভেলার সাথে ৮/১০ টি করে গরুর পা বেঁধে একত্রে ভাসিয়ে দিচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের পানির স্রোতে।
এতে করে গত এক মাস ধরে সীমান্তের ওপার থেকে ভেসে আসা গরুর মধ্যে শত শত গরু মৃত্যু বরণ করে পড়ে আছে কুড়িগ্রামের ব্রক্ষপুত্র নদের চরে। দূষিত হয়ে পড়েছে নদের পানিসহ পরিবেশ। এ অবস্থায় পরিবেশ রক্ষাসহ গরুর প্রতি এমন নির্মমতা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এই অমানবিক দৃশ্য কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রারপুর ইউনিয়ের উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের ডুবো চরের। শুধু একটি দুটি চর নয়, নদের বুকে জেগে ওঠা ১০ থেকে ১২ টি ডুবো চরে পড়ে আছে শতশত মৃত গরু। বেশি লাভের আশায় ভারতীয় চোরাকারবারীরা ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবেশ মুখ ভারতের কালাইয়ের চর উজান থেকে বাংলাদেশী চোরাকারবারীদের কাছে স্রোতে ভাসিয়ে দেয় এসব গরু।
সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর, চিরা খাওয়া, ঝুনকার চর, অষ্টআশির চর, রলাকাটার চরসহ বেশকিছু চরে ঘরে দেখা গেছে নদের দুই পাড়ের এসব ডুবো চরের কোনটিতে ৪০টি, কোনটিতে ২০টি, কোনটিতে ১০টি কোনটিতে ১৫টি এভাবে অগনিত মৃত গরু পড়ে আছে। এসব গরুর কোন কোনটির চামড়া সিলিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয় মুচিরা।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন জানান, এমন নির্দয় ভাবে গরু পাচার এবং গরুর মৃত্যুর ঘটনাটি শুনেছি। এব্যাপারে গরু পাচার রোধের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। সম্পাদনা : রাকিবুল