মো. আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। মূলত ২০০০ সালের পর থেকে এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ শুরু হয়। ফসলটি লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমিয়ে এ জেলারকুল চাষ শুরু করেছে চাষিরা। বাউকুল, আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারিকেলী, ঢাকা নাইনটিসহ বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হয়ে থাকে এ জেলায়। চলতি বছর এ জেলায় ৬ শ ৬০ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। ৭ হাজার মে. টন কুল উদপাদন হতে পারে বলে কৃষি বিভাগ জানায়।
কৃষকরা জানান, কুল চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। প্রতি কেজি কুলের পাইকারি মূল্য ৪০ থেকে ৫০ টাকা। খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। এ জেলার উৎপাদিত কুল জেলার চাহিদা মিটিয়ে খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিলে কুল চাষ আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে ।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরেবিন্দু বিশ্বাস জানান, এবছর সাতক্ষীরায় কুলের ভাল ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছে ভাল। সরকারও কুলচাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে। সম্পাদনা : মুরাদ/ জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :