শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:১৩ দুপুর
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:১৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গবেষণায় চুরি, ঢাবি ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সেই লুৎফুলকে অব্যাহতি

সারাবাংলা : পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভে (থিসিস) চুরির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ঢাবি প্রশাসন। একইসঙ্গে তার অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমাদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সহযোগী অধ্যাপক লুৎফুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি তিনি এই দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি পাবেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তাকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্তের জন্য আমাকে আহ্বায়ক তরে করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম আব্দুর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য মিজানুর রহমানও এই তদন্ত কমিটিতে আছেন বলে জানান উপউপাচার্য। সুনির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে না দিলেও যত দ্রুতসম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

২০১৪ সালে ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক ওই নিবন্ধের ওপর পিএইচডি গবেষণা করেন আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। তার এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ, সহতত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ওই অভিসন্দর্ভ জমা দিয়ে তিনি ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নিয়েছেন। তবে গবেষণার কপি তিনি তত্ত্বাবধায়কের কাছে জমা দেননি। পরে ওই থিসিসের ৯৮ শতাংশই হুবহু নকল বলে অভিযোগ ওঠে। গত ২১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়