শিমুল মাহমুদ: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি বাইরে থেকে ‘অস্ত্রধারী গুণ্ডা’ আনছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন অভিযোগকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বুধবার আর কে মিশন রোডে প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।মোশাররফ বলেন, এটা অত্যন্ত হাস্যকর।কে না জানে যে বিএনপির প্রার্থীরা, সাধারণ কর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারছে না পুলিশের বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে।আমাদের পক্ষে বাইরে থেকে লোক আনা বা কোনো অস্ত্র-শস্ত্র যোগাড় করা- এটা অসম্ভব বিষয়।এটা আমাদের দ্বারা করা সম্ভবও নয়, এটা আমরা করিও নাই।
তিনি বলেন, আমরা জানি যে, আওয়ামী লীগ এটা আসলে করছে। তারা বাইরে থেকে নেতা-কর্মীদের ঢাকা শহরে এনে সয়লাব করে ফেলেছে, ৩০ লাখ নেতা-কর্মীকে অস্ত্র-শস্ত্রসহ ঢাকা শহরে এনেছে। এই অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আসতে তাদের কর্মীরা সাহস পায়, কারণ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। এই কাজটি তারা করেছে, এই কাজটি করবে বলেই আগে থেকে বিএনপির ওপরে দোষ চাপানোর জন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব এই ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ নেয়ার যে তাদের সবসময়ের অভ্যাস, সেটা করার জন্য এই কথা উনি বলেছেন।আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
মানুষ ভোট দিতে পারলে শতকরা ৮০ ভাগ ভোট পেয়ে ঢাকায় বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে দাবি করেন তিনি।আর ভোট প্রহসনে পরিণত হলে এর দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাবে বলে হুঁশিয়ারি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এখনো নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়িতে ঢুকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হলেও ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমরা মনে করি, একচোখা নির্বাচন কমিশন প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক আচরণ ও ভূমিকায় এই নির্বাচন যদি গতানুগতিক ও প্রহসনে পরিণত হয় তাহলে জনগণ তা বরদাশত করবে না এবং উদ্ভুত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকার ও একচোখা নির্বাচন কমিশনকেই গ্রহণ করতে হবে।