শিরোনাম
◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ◈ এ‌শিয়া কা‌পে ওমানকে হারা‌লো আরব আমিরাত ◈ বাংলাদেশ দলের বিরু‌দ্ধে আমা‌দের চ্যালঞ্জ নি‌য়ে খেল‌তে হ‌বে: আফগানিস্তান কোচ ◈ বাংলাদেশি পাসপোর্ট সহ টিউলিপের ট্যাক্স ফাইলের খোঁজ পেয়েছে এনবিআর ◈ জলদস্যুদের ধাওয়ায় ট্রলারডুবি: ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ১৮ জেলের জীবনরক্ষা

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:৫৫ দুপুর
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনেক দেশের মানুষ অপছন্দ করলেও ভারতে তুমুল জনপ্রিয় হিটলার

সালেহ্ বিপ্লব : ২০১৮ সালের আগস্টে ভারতের লোকসভায় হিটলার সেজে এসেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের তেলুগু দেশম পার্টির এমপি নারামাল্লি শিবপ্রসাদ। তার বক্তব্য ছিলো, নিজের রাজ্যের জন্য বাড়তি অর্থ বরাদ্দের দাবিতে তিনি এই সাজ নিয়েছেন।

হিটলারকে ঘৃণার চোখেই দেখে পৃথিবীর তাবৎ মানুষের বেশির ভাগ। কিন্তু সাবেক এ অভিনেতা যখন হিটলারের বেশে এলেন, তা নিয়ে খুব একটা রা করেননি কেউ। টুইটারে সামান্য কিছু মৃদু প্রতিবাদ হয়েছে, এই পর্যন্তই। এর আগেও হিটলারের প্রতি প্রেম দেখিয়েছে ভারতের মানুষ। হিটলারের নামে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, টি-শার্টের দোকান - এমন কী আইসক্রিম পর্যন্ত চালু হয়েছে, কিন্তু দেশের ৬ হাজার ইহুদী ছাড়া কেউই তার বিশেষ প্রতিবাদ করেননি। কারণ একটাই, হিটলার ভারতে জনপ্রিয়।

এমপি শিবপ্রসাদের ওই কাণ্ডের পর দিল্লি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অনিরুদ্ধ দেশপান্ডে বিবিসিকে এই কথাটাই বলেছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমার তো এটাও বলতে দ্বিধা নেই, হিটলার ভারতে রীতিমতো জনপ্রিয়ও। ‘

তিনি বলেন, "হিটলারের আত্মজীবনী 'মাইন ক্যাম্ফ' ভারতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইগুলোর একটি। দেশের প্রায় প্রতিটা ট্র্যাফিক ক্রসিংয়ে আপনি বইটা বিক্রি হতে দেখবেন।’

পর্যবেক্ষকরাও বলছেন, ভারতীয় সমাজে হিটলারের একটা গ্রহণযোগ্যতা বহুদিন ধরেই তৈরি হয়েছে। আর তার পেছনে কিছু ঐতিহাসিক কারণও আছে।

ইতিহাসবিদ মহুয়া সরকার মনে করেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়ার যুগ থেকেই হিটলারের প্রতি ভারতের একটা দুর্বলতা তৈরি হয়েছিল। মিত্রশক্তির হয়ে ভারতের সেনারা যুদ্ধ হয়তো করেছে। কিন্তু আদর্শগতভাবে জার্মানি ও জাপানের প্রতি ভারতের একটা দুর্বলতা সব সময়ই কাজ করেছে যে এরা ব্রিটিশ ব্লকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।"

অধ্যাপক মহুয়া সরকার আরও বলেন, ‘নাৎসিদের স্বস্তিকা চিহ্নও হিটলার হিন্দুধর্ম থেকেই নিয়েছিলেন বলে অনেকে বিশ্বাস করেন - আর সেটাও সম্ভবত রেখে গেছে একটা যোগসূত্র।

হিটলারের সঙ্গে নেতাজী সুভাষ বোসের সাক্ষাৎ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। নেতাজীর প্রপৌত্র ও বিজেপি নেতা চন্দ্রকুমার বোস বলেন, ‘সুভাষ বোস হিটলার আর জেনারেল তোজোর সাহায্য নিয়েছিলেন সেটা এই কারণে নয় যে তিনি তাদের ভীষণ ভক্তিশ্রদ্ধা করতেন। ওটা ছিলো তার মিলিটারি স্ট্র্যাটেজি। কারণ গান্ধীর অহিংসা আর অনশনের ভরসায় বসে থাকলে কোনওদিন ব্রিটিশ ভারত ছেড়ে যেত বলে মনে হয় না।"

বলা চলে, নেতাজীর কারণেও হিটলারের গ্রহণযোগ্যতা আছে ভারতে। সব মিলিয়ে ষাট লাখ ইহুদীকে হত্যার ‘হলোকাস্ট’ শেষ হওয়ার সত্তর বছরেরও বেশি পরে আজও ভারতে দারুণ জনপ্রিয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়