জুনায়েদ কবির : জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর বলছেন, এ রোগের চিকিৎসা না থাকায় গত দুই মাসে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি গরু । ডিবিসি
নেয়াখালীর প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় সাড়ে ৫ হাজারের ছোট বড় খামার রয়েছে আর এসব খামারে রয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজারের মতো গবাদী পশু। জেলার অন্য উপজেলাগুলো থেকে বেগমগঞ্জ, সূবর্ণচর, কোম্পানিগঞ্জ, ও হাতিয়াতে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে । এর মধ্যে মারা গেছে ২০টির বেশি গরু বলছেন, স্থানীয় খামারীরা।
মশামাশির মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগে গরু প্রথমে দূর্বল হয়ে পড়ে এবং গাভীর দুধ উৎপাদন কমে যায় । সঠিক পরিচর্যা না পেলে গরুর মৃত্যুও হয়, বলছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা । ঔষুধ ও ডাক্তার দেখিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন খামারিরা। খামারিরা বলছেন, প্রায় সব গরুর বুক ফুলে পানি জমে রয়েছে।
খামারিরা অভিযোগ করছেন,ঔষুদের দাম ৪৯৫ টাকা হলেও তাদের কাছে থেকে দুই ডোজে ২২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আবার রোগ আক্রান্ত হওয়ায় অনেক খামারি কম দামে গরু বিক্রি করে দিয়ে লোকসানেসর মুখে পড়েছেন ।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম আকন্দ বলেন, এ রোগের তেমন কোন চিকিৎসা নেই তবে বিস্তার রোধে সচেতনা করতে তারা খামারীদের সাথে কাজ করছে ।
আপনার মতামত লিখুন :