শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ২৬ জানুয়ারী, ২০২০, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌন্দর্য বর্ধনের নামে মসজিদ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি ওলামা লীগের

ডেস্ক রিপোর্ট: রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান ওলামা লীগসহ সরকারের পক্ষের সমমনা ১৩টি দল। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কথিত সৌন্দর্য বর্ধন তথা উন্নয়নের নামে ঢাকার চারপাশে নদী কেন্দ্রীক ৭৭ টি মসজিদসহ সমগ্রদেশে মাদ্রাসাসমূহ ভেঙে দেয়ার চরম ইসলামবিরোধী। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কোথাও একবার মসজিদ হলে তা ভাঙার অধিকার কারো নেই। কাজেই মসজিদ ভাঙা সাধারণ মুসালমান বরদাশত করবে না।

তারা বলেন, কথিত উন্নয়নের নামে ১৯৮৯ সালে নুর মুহাম্মদ মিয়ার দানকৃত ১৯৯৫ সালে রেজিস্ট্রি মূলে ওয়াকফকৃত ৬ শতক ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হাতিরঝিলের আলোচিত ভাসমান বায়তুল মাহফুজ মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ফেনীর মহিপালে ফ্লাইওভারের জন্য মহাপবিত্র মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। কয়েক বছর আগে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় কামাল পাশা সরণির উন্নয়নের নামে ৫টি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ ও একটি মাদরাসার অনেকাংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি নদী তীরের আরো ৭৭টি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সমাবেশ ও মানবন্ধনে সমন্বয় করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী,আরও বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক- হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী প্রমুখ।

যদিও এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তিনি বলেন, আমরা সেগুলোকে আরো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে চাই। যেন তা দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়। নদী রক্ষার স্বার্থে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে তা আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই করা হবে। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি না ছড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় জানানো হয়, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ নদীবন্দর এলাকায় অননুমোতিভাবে ১১৩টি ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে ৭৭টি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মাজার, ৫টি কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা, একটি ঈদগাহ, ১৪টি স্কুল ও কলেজ, ১৩টি স্নানঘাট, মন্দির ও শ্মশানঘাট ও তিনটি অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়