শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুনামগঞ্জে নদীর তীরবর্তী এলাকা যেন ময়লার ভাগাড়

চ্যানেল আই : সুনামগঞ্জের নদীর তীরবর্তী প্রতিটি বাজারে ও খোলা স্থানে সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা অপরিকল্পিতভাবে ফেলার কারণে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে নদীর পানি ও পরিবেশ।

জানা যায়, জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়রাবাজারসহ ১১টি উপজেলার নদীর তীর এলাকা এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। নদীর তীরে বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ছুঁড়ে ফেলা, বাসা-বাড়ির বাথরুমের পানি ও রাস্তার ড্রেনেজ লাইনের ময়লা নির্গত হওয়ায় পানি নোংরা হচ্ছে।

এছাড়া জেলার পৌর শহর সুরমা নদীর উত্তর আরপিননগর নদীর তীর এলাকা, পশ্চিমবাজার, মধ্যবাজার, সাহেববাড়ি সেলুঘাট, চাঁদনীঘাট, সুরমা হকার্স মার্কেট সংলগ্ন নদীর তীর এলাকা, জগন্নাথবাড়ি নদীর তীর, প্রধান মাছ বাজার এলাকা জেলরোড ফেরিঘাট এলাকা, লঞ্চঘাট এলাকা, উকিলপাড়া এলাকা, ষোলঘর নদীর তীর এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে নোংরা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এসব ময়লার স্তুপ থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

এ কারণে সাংসারিক কাজে নদীর পানি ব্যবহার করছেন নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত মানুষজন। কিন্তু কাপড় ধোয়াসহ অন্যান্য কাজ করতে হচ্ছে তাদের।

নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ বলে দাবি পরিবেশবাদী সংগঠনের। তাই নদীর তীর রক্ষায় এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।


জেলা সদর উপজেলার আরপিন নগর এলাকার রাকিবুল ইসলাম বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন করা আছে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অতিরিক্ত ক্লিনার আছে। আমাদের পৌরসভার গাড়ি দিয়ে বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে আসে। এরপরও এক শ্রেণীর মানুষ নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দেয়। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। নদীর পানি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে হয় আমাদের। নদীর তীরে যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় তখন পানি দূষিত হয়। পানি কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। এতে রোগ জীবাণুও সৃষ্টি হয়। তাই নদীর তীরের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ জরুরি প্রয়োজন।

এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল বলেন,শহরের নদীর দিকে তাকালে দেখা যায় নদীর তীরে ময়লার একাধিক স্তুপ থেকে ময়লার দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই ময়লা আবার কেউ কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। আগুনে পুড়ে ফেলার সময়ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায় শুধু নয় এতে বায়ু দূষনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা সাজিদুর রহমান বলেন, যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মশা-মাছির জন্ম হয়। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ নষ্ট হয় এবং রোগেরও সৃষ্টি হয়। তাই ময়লা পানি বা আবর্জনা ফেলার আগে পরিবেশ নিয়ে ভাবতে হবে সকলকে। সুন্দর পরিবেশ সুরক্ষা সকলের দায়িত্ব। সবাইকে এই সব ময়লা ফালানো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের বলেন, শহরের আনাচে-কানাচে কিছু কিছু জায়গায় যেমন ময়লা-আবর্জনা দেখা যায় তেমনি নদীর তীরেও বেশ কিছু জায়গায় ময়লার স্তুপ দেখা যায়। যারা ময়লা ফেলেন তাদের সচেতন হওয়া উচিত। কারণ এই নদীর পানিতে অনেকে গোসল করেন। সাংসারিক কাজকর্মেও ব্যবহার করেন। মানুষ নদীপথে চলাচলের সময় এই নোংরা পরিবেশ তাদেরও নজরে আসে। এই জন্য নদীর তীর রক্ষায় এবং পরিবেশ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

পৌর কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লোহ বলেন, নদীর তীরের পরিবেশ সুরক্ষায় মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। আমরা বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনাকে আরো জোরদার করব। যাতে করে নদী ও পরিবেশ নষ্ট না হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়