শাহানুজ্জামান টিটু : শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ৪৬ নং ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ (জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম) মাদ্রাসায় জুম্মার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমি প্রত্যেকদিন কথা বলছি , বক্তব্য দিচ্ছি আমার প্রতিপক্ষের লোকেরা বিন্দুমাত্র ধারণা রাখে না। আমি প্রত্যেক দিনই ঢাকা বাসীর জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছি কিন্তু তারা হয়তো এগুলো শুনছে না। কারণ তারাতো ব্যর্থ।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, গত ১৩ বছর ধরে তাদের দল ক্ষমতায়, গত নয় বছর ধরে নগরের দায়িত্বে তারা আছে কিন্তু তারা তো এখনো নগরের কোনো পরিবর্তন করতে পারে নাই। আর কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না। তারাতো জবাব দেয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করে না। কারণ তারা জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। সুতরাং তারা এই নগরের জন্য জনগণের জন্য কিছুই করতে পারবে না বলে আমরা মনে করি না।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাদেক হোসেন খোকা দেশে মৃত্যুবরণ করতে পারেননি অভিযোগ করে ইশরাক বলেন, আজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দেশে মৃত্যুবরণ করতে পারেন নাই। তিনি মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তার পরিবারের দুঃখটা আমি খুব ভালো করে বুঝি। কারণ আমার বাবাও একই ধরনের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তাকেও এই বাংলাদেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে দেয়া হয় নাই শুধুমাত্র বিরোধী দলের রাজনীতি করার কারণে। আমি কিছু বলতে চাই না জনগণ দেখছে, মহান আল্লাহতালা এগুলো দেখছেন। উনি যথা সময়ে এর বিচার করবেন।
তিনি বলেন, চারদিকে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, দুঃশাসনের বিপক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। এই দুঃশাসনের বিপক্ষে আপনারা আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষে ভোট দিবেন। এই জনশ্রোত দেখে নির্বাচন এবং বিএনপি'র বিজয়কে বানচাল করার যে ষড়যন্ত্র অপচেষ্টা করা হচ্ছে সেটা কখনোই সফল হবে না।
নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোন নোটিশ পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আমি এমন ধরনের কোনো নোটিশ পাইনি। আমার আইনজীবী যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে। সেখান থেকে জানতে পারছি এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নোটিশ পাইনি।
ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো উন্নয়নে আপনি কতটুক কাজ করেন এমন প্রশ্নে ইশরাক বলেন, আমি আমার বাবার রাজনৈতিক আদর্শকে মনে-প্রাণে ধারণ করি। আমি বলতে চাই, আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশে বসবাস করি। অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিশ্বাস করি। দীর্ঘকাল ধরে এই এলাকায় আমরা হিন্দু এবং মুসলমান এক সাথে বসবাস করে আসছি এই জায়গায় আমরা কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এখানে স্থান দেই নাই। আগামীতেও দেবো না।
পরে ফরিদাবাদে মোতালেব শাহ (রাঃ)-এর মাজার জিয়ারত করে পনেরোতম দিনের প্রচারণা শুরু করেন ইশরাক। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে ৪৫ ও ৪০ নং ওয়ার্ড এবং ওয়ারী থানাধীন ৩৯ নং ওয়ার্ডে প্রচারণা ও গণসংযোগ করে গোপীবাগ বাসভবনে এসে দিনের প্রচারণা শেষ করবেন বিএনপির এই প্রার্থী।
প্রচারণা অংশ নিতে সকাল থেকেই দলীয় কর্মী সমর্থকরা বাংলা বাজার ও ফরিদাবাদ এলাকায় জড়ো হন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।