জুনায়েদ কবির : দক্ষিণাঞ্চলে ঠান্ডা গরম আবহাওয়ায় বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে বোরোর চারা যার ফলে ভরা মৌসুমে আবাদ কম হওয়ার আশঙ্কাই রয়েছে স্থানীয় কৃষকরা । আর অসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় রবিশস্যের মাঠেও ফসলশূন্য হওয়ায় লোকসান গুনছে কৃষকরা, সেখানকার কৃষি এ সংকটের কথা তুলে ধরেছেন কৃষকরা ।
এই শীতে বরিশালের সর্বেনিম্ন তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস । তাপমাত্রার এরকম হেরফেরের কারণে বোরো ধানের বীজতলায় শুরু হয় ছত্রাকের আক্রমণ । কৃষকরা বলছে, ঠান্ডার কারণে বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে গোড়ায় পচন ধরছে আর রোদের তাপে বীজ সাদা হয়ে যাচ্ছে । এ অবস্থায় সামনের বোরো মৌসুমে চারার অভাগে অনেক জমি ফাঁকা থাকতে পারে ।
এদিকে নভেম্বর-ডিসেম্বর দুই মাসে বরিশালের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭৭ মিলিমিটার । এই বৃষ্টিই আলু , শিম, শাক, তেলবীজ সহ রবিশস্যে ফসলগুলোর ক্ষতির কারণ, বলছেন চাষীরা । তিন দফা বৃষ্টিতে ফসল হারিয়েছেন তারা । প্রকৃতির বৈরি আচরণে বীজতলা লাল হয়ে গেছে বলছে, স্থানীয় কৃষি বিভাগ । কৃষি বিভাগ কৃষকদের সকালবেলা বীজতলার কুয়াশা ভেঙ্গে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে ।
বরিশাল কৃষি বিভাগ বলছে, এবছর বিভাগে বীজতলা করা হয় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আর এর মধ্যে নষ্ট হয়েছে ২০ শতাংশ জমির বীজতলা। আর রবিশস্যের আবাদ হয়েছে ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে কিন্তু বেশিরভাগ ফসলই তোলা যায়নি বৃষ্টির কারণে ।
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক হরিদাস শিকারী বলছেন, আমাদের যতটুকু লক্ষ্যমাত্রা ছিল বীজের জন্য সে লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করেছি তাই সামনের মৌসুমে কোন সমস্যা হবে না আর তাপমাএা বেড়ে গেলে এ রোগের মাত্রাও কমে যাবে। সম্পদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :