সুজিৎ নন্দী: বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গা শুরুর দ্বিতীয় দিনে আজ ভবন ভাঙ্গার কাজ হয়েছে। বাইরে আউট লাইট গ্লাস খোলা শুরু না হলেও যারা ভবন ভাঙ্গার কাজে অংশ নেবে তারা প্রতিটি ফ্লোর ঘুরে দেখেছে। যেহেতু সনাতন পদ্ধতিতে ভবন ভাঙ্গা হবে এজন্য আগামী দুই দিন কর্র্মীরা প্রতিটি ফ্লোর দেখেছে। বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ ভবনে গিয়ে এরকম চিত্র দেখা গেছে।
একাধিক কর্মী জানান, আশপাশের ভবনের মালিকরা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, তাদের যেন কোন ক্ষতি না হয়। আমরা সব সময় আশপাশ লক্ষ্য রেখে কাজ করবো। ২ লাখ ৬৬ হাজার বর্গফুটের বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গতে সময় দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৬মাস। একারণে সেভাবেই আমরা কাজ করবো।
ফোরস্টার কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জানান, যেহেতু ভবনটি সনাতন পদ্ধতিতে ভাঙ্গা হবে এ জন্য সময় একটু বেশি লাগবে। খুব সাবধানে ভবনের আউট লাইট গ্লাস, টাইলস, কমোড, বেসিন, ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশনের উপকরণ খুলতে হবে।
প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, অপসারণ কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য বুয়েটের প্রতিনিধি, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, রাজউকের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি টিম থাকবে। এমনকি নগর ও ইমারত বিশারদদের নিয়ে একটি টিম করা হয়েছে। তার সার্বক্ষণিকভাবে এই কর্মকান্ড দেখভাল করবেন। তিনি আরো বলেন, ভবন ভাঙ্গার কাজে কোন ঝুঁকি থাকবে না। আশাপাশের ভবনের ঝুঁকির কোন কারণ নেই। সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে তারা কাজ করা হবে।