মঈন উদ্দীন: রাজশাহী শহরের পানি নিস্কাশনের জন্য নির্মিত বড়বড় ড্রেনগুলোতে মিশছে বিষাক্ত বর্জ্য। নির্ধারিত ডাস্টবিনে এসব বর্জ্য না ফেলে অনেকেই তা ফেলে দিচ্ছে ড্রেনে। এতে একদিকে যেমন ড্রেনগুলোতে জমছে ময়লার স্তুপ অন্যদিকে বিশ্রী দূগন্ধে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পথচারীদের রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। ছড়াচ্ছে রোগ বিস্তারকারী জিবানু ও বিষাক্ত ধাতব পদার্থগুলো জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে প্রকাশ্যই এসব বর্জ্য ড্রেনে ফেলা হলেও এগুলোতে বাধা দেয়ার কেউ নেই।
রাজশাহীর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্টেডিয়াম এলাকায় গড়ে উঠেছে স্টিলসহ বিভন্ন ভাঙ্গড়ির দোকান। এসব দোকানের ভাঙ্গা স্টিলসহ বর্জ্য হরহামেশায় ফেলা হচ্ছে ড্রেনে। এছাড়া হাসপাতাল ক্লিনিক, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানার বর্জ্য প্রতিনিয়ত গিয়ে পড়ছে ড্রেনে। এসব বর্জ্য পদার্থকে ড্রেনের পাশে স্তুপ করে রাখা হয়। সেগুলো ড্রেনে পড়ে পচে-গলে বাতাসকে মারাত্মক দূষিত করে। বর্ষা মৌসুমে এ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। কঠিন বর্জ্য রাস্তার পাশের ড্রেনে পড়ে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাকেই বাধাগ্রস্ত করছে।
এছাড়া উম্মুক্ত স্থান থেকেও বিপুল পরিমাণ কঠিন ও তরল আবর্জনা প্রতিনিয়ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে জটিল করে তুলছে। রান্নাঘরের পরিত্যক্ত আবর্জনা, হাটবাজারের পচনশীল শাকসবজি, মিল কারখানার তৈলাক্ত পদার্থ, কসাইখানার রক্ত, ছাপাখানার রঙ, হাসপাতালের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থের নিরাপদ অপসারণ নিশ্চিত না হওয়ায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হয়ে উঠছে আরও ঝুঁকিপূর্ণ। নগরীর প্রচুর সংখ্যক বাড়ির মলমূত্রও সরাসরি ফেল হচ্ছে ড্রেনে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, নগরী জুড়ে ময়লা ফেলার জন্য ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা আমাদের আছে। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার