ইসমাঈল ইমু: মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তরে বইমেলার নিরাপত্তা বিষয়ক সভায় কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বই বইমেলাতে থাকতে দেওয়া যাবে না। বই প্রেমীরা বইয়ের ক্ষুধা বইমেলা থেকে বই কিনে মিটিয়ে থাকেন। তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে বাঙালির প্রাণের মেলা সফলভাবে আয়োজন করে শেষ করতে পারব। আপনারা যেকোন পরিস্থিতিতে পুলিশের সহযোগিতা নিবেন।
বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ব্যাবস্থাপনা সম্পর্কে বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এবারের বইমেলায় ৫৩৮টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলায় ৪১১টি প্রতিষ্ঠান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৭টি প্রতিষ্ঠান মোট ৮৭২টি ইউনিটে বুক স্টল দিবেন।
এছাড়া বইমেলা প্রাঙ্গণে থাকছে শিশু চত্ত¡র, মসজিদ, টয়লেট ব্যবস্থাপনা, ফুড পার্ক ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। বইমেলায় বই মনিটরিং করতে থাকবে মনিটরিং কমিটি। বইমেলার নিরাপত্তায় ৩০০টির অধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বাঁশ ও টিন দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ শক্ত করে বেষ্টনি দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুক স্টলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে প্রকাশকদের বলা হয়েছে।