মুসবা তিন্নি: বাদুড় নিশাচর প্রাণী রাতের বেলা তারা দল বেঁধে বের হয় খাবার সংগ্রহে। এক শ্রেণির মানুষ অভিনব কায়দায় খাদ্য সংগ্রহে বের হওয়া বাদুরগুলো শিকার করছে।শিকার করা বাদুড়গুলো তারা বিভিন্ন খাবার হোটেলে মাংস হিসেবে বিক্রি করে বলে বাদুড় শিকারীদের সূত্রে জানা গেছে।
শিকার করা বাদুড় বস্তাবন্দী করে পাচার করার সময় দু’জন শিকারীকে স্থানীয়রা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মৃত বাদুড় হোটেলে মাংস হিসেবে বিক্রি করেন বলে স্বীকার করেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে এ উপজেলায় প্রচুর পরিমানে খেজুর গুড় উৎপাদন হয়ে থাকে। বাদুরও রাতের বেলা খেজুড়ের রস খেতে খেজুর গাছে আসে। এছাড়াও গাছের বিভিন্ন পাঁকা ফল খেয়ে নষ্ট করে তারা। তবে শীত এলে প্রতিবারই হঠাৎ এলাকায় প্রচুর বাদুরের আগমন ঘটে।
একাধিক খেজুর গাছ চাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক শ্রেণির শিকারী রাতের আধাঁরে বাঁশের বড় লাঠির সঙ্গে লোহার শিক ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় বাদুড় শিকার করে। তবে এই শিকারীদের তারা চেনেন না এমনকি তারা কোথায় থেকে আসে সে ব্যপারেও জানাতে পারেনি তারা।
বাদুড়সহ যে কোন বন্যপ্রাণী শিকার, সংরক্ষণ এমনকি হত্যা করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওলিউজ্জামান জানান, এ ধরনের ঘটনা উপজেলার কোথাও কেও ঘটালে প্রশাসনকে জানানোর আহবান জানান।
তবে তিনি বলেন, আমাদের উপজেলার কোন হোটেলে হয়তো এগুলো বিক্রি হয়না। সুনির্দিষ্ট ভাবে তথ্য দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :