সময়ের আলো : প্রতিটি মানুষ চায় সবসময় নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে। কিন্তু চাইলেই এটা সম্ভব হয় না। ঠেকানো যায় না বার্ধক্য, তবে তারুণ্য ধরে রাখা যায়। আসলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের পরিবর্তন হবে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
আসলে বয়স বাড়লেও শরীর মন সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকাটাই হলো তারুণ্য। আর চির তরুণ থাকার কিছু উপায় আছে। রয়েছে কিছু খাবার যেগুলো ধরে রাখবে আপনার চির তারুণ্য।
তাহলে চলুন দেখে নেই কি সেই খাবারগুলি-
১. দই
সার্বিক সুস্বাস্থ্যে দারুণ উপকারী। এটি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন ডি উপাদানে সমৃদ্ধ। দই হাড় শক্তিশালী রাখে এবং মাংসপেশিকে সবল ও সুস্থ্য রাখে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিকস। যা হজমে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি বার্ধক্যজনিত রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।
২. অলিভ ওয়েল
এর স্বাস্থ্যগুণ বহুবিধ। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে যেকোনো খাবারে এটি ব্যবহার করা যায়। এতে রয়েছে উচ্চমানের ফ্যাট বা চর্বি। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। জলপাই তেলের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে। এছাড়া ত্বক নমনীয় ও কোমলা রাখতে এর জুড়িমেলা ভার।
৩. ডালিম
ফলের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু ও নরম খাবার হিসেবে উপযুক্ত এটি। ডালিম ত্বকের মৃত কোষ দূর ও নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা ত্বক কুচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও এটি ত্বককে সুরক্ষা দেয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিটিউমর উপাদানেও সমৃদ্ধ। যার ফলে রূপ-লাবণ্য স্বাভাবিক থাকে।
৪. ব্লুবেরি
কেবল সুস্বাদু খাবার হিসেবেই নয়, এতে রয়েছে অন্য খাবারের চেয়ে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এটি অল্প বয়সে চোখের কোণে পড়া কালো দাগ, চোখের নিচে পড়া ভাঁজ দূর করে।
৫. কমলা
এটি ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস। এ উপাদান কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। এ কোলাজেন ত্বক নরম রাখে এবং চর্মরোগ দূর করে। শুধু তাই নয়, ত্বক মসৃণ রাখতেও এটি সহায়তা করে। এটি খেলে ত্বক ঝুলে যায় না। এটি খাওয়ার ফলে মানসিক অবসাদ দূর হয়।
আপনার মতামত লিখুন :