শিরোনাম
◈ সি‌লে‌টে নয়, ঢাকা পর্ব দি‌য়ে শুরু হচ্ছে বিপিএল ◈ মধ্যরাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে বাড়ানো হলো নিরাপত্তা ◈ মোদির শুভেচ্ছায় কৃতজ্ঞতা জানালো বিএনপি ◈ রাঙ্গামাটিতে কয়েক সেকেন্ডের মাঝারি ভূকম্পন অনুভূত ◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত

প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:৫৩ রাত
আপডেট : ২১ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:৫৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খেজুর রসে বিষ ছিটিয়ে চলনবিলে পাখি নিধন!

অনলাইন রিপোর্ট: মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলে অভিনব কায়দায় খেজুর রসে দানাদার (বিষ) ছিটিয়ে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখি শিকার চলছে। এতে বিলের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।

আর সেই বিষে নিধনকৃত পাখিগুলো খাচ্ছে চলনবিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষ। আর যারা এই পাখি শিকার করছে, তারা পাখি শিকার যে ‘আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’ তা যেনেও পাখির মাংসের স্বাদ ও সামান্য টাকার লোভে এই পাখি শিকার করছে বলে জানান এলাকাবাসী।

চলনবিলের কলম ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হারুন-অর রশিদ জানান, বর্ষার শেষভাগে বিলে পানি কমতে শুরু করার সময় মাছ খাওয়ার লোভে অতিথিসহ দেশীয় প্রজাতির পাখিরা বিলে ভিড় জমায়। আবার শীতে খেজুর গাছের রসের হাঁড়িতে পাখিদের আনাগোনা দেখা যায়। আর এই সুযোগেই কিছু লোভী শিকারি দানাদার (বিষ), কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে।

সোমবার সকালে সিংড়ার চলনবিলের কৃষ্ণপুর-আত্রাই নদীর বাঁধে প্রায় কুড়িটি খেজুর গাছের রসের হাঁড়িতে দানাদার (বিষ) ছিটিয়ে বুলবুলিসহ শতাধিক দেশীয় পাখি শিকার করে শিকারিরা।

খবর পেয়ে স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা পাখিগুলো উদ্ধার করেন। দানাদার (বিষ) মিশ্রিত খেজুর রসের হাঁড়ি ও গাছ পানি দিয়ে ধুয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রভাষক হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবদুল্লাহ আল মামুন, পরিবেশকর্মী মনির হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পাখি শিকার বন্ধে আইন থাকলেও চলনবিল এলাকায় সরকারি তেমন কোনো পদক্ষেপ ও তৎপরতা দেখা যায় না। তবে বিলের পাখি শিকার বন্ধে সবার সমন্বিত পরিকল্পনা ও প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উপস্থাপন দরকার।

সিংড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা হওয়ায় পাখি শিকার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা সভা করছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

সূত্র: যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়