তৌহিদুর রহমান : কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিসহ চাষাবাদে উৎসাহ যোগাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি চাষাবাদ পদ্ধতিতে নেয়া হয়েছে আধুনিকায়নের উদ্যোগ। চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে ধান রোপণ ও কর্তন সবই হবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। পরীক্ষামূলকভাবে এটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে তা আরও সম্প্রসারণ করা হবে। নতুন এ পদ্ধতিতে ট্রের মাধ্যমে মেটস পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করে উৎপাদিত চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে রোপন করা হচ্ছে। এতে কমছে কৃষকের সময় ও উৎপাদন ব্যয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মজলিশপুরে ৬০ বিঘা জমিতে ২৫ জন কৃষককে সংগঠিত করে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে জমি ছাড়াও বাড়ির ছাদেও ধানের চারা উৎপাদন সম্ভব। বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ধানের চারা উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়বে না।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আধুনিক চাষাবাদে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করতে সরকার বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রের উপর ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতর দিচ্ছে। সনাতন পদ্ধতির চারা জমিতে রোপণের ক্ষেত্রে ৪৫ দিনের মত সময় লাগলেও, আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত এসব চারা ২০ দিনের মধ্যেই জমিতে রোপন করা যাবে। পাশাপাশি কম জায়গায় বেশী চারা উৎপাদন সম্ভব। নতুন এই পদ্ধতিতে ২০ শতাংশ জমিতেই ৭০ শতাংশ জমির চারা উৎপাদন সম্ভব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচারক মো. আবু নাছের বলেন, পদ্ধতিটি সফল হলে সবকটি উপজেলাকে এর আওতায় আনার পাশাপাশি ধান উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে । সম্পাদনা : সৈকত
আপনার মতামত লিখুন :