আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : বন্দি অপরাধীদের আলোর পথ দেখাতে কুষ্টিয়া কারাগারে নেয়া হয়েছে ব্যাতিক্রমী নানা উদ্যোগ। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষন নিয়ে সাবলম্বী হচ্ছে অপরাধীরা। তাদের তৈরি শাড়ী, লুঙ্গি ও একতারা বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কারা কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপে বদলে গেছে কুষ্টিয়া কারাগার।
প্রথম দিকে নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও এখন সুবিধা পাচ্ছেন কয়েদি ও হাজতিরা। দুই বছর আগে কুষ্টিয়া কারাগারের ভিতরে চালু করা হয় এসব প্রশিক্ষন কোর্স। কারা কর্তৃপক্ষ জানান, নতুন কোন আসামী কারাগারে আসলে তার তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
কেউ লেখাপড়া ও নাম স্বাক্ষর না জানলে তাকে আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়। কারগারে আসার পর দিনই শুরু হয় নাম স্বাক্ষর শেখানো।
কারাগার সুত্রে জানা গেছে, কারগারকে প্রকৃত পক্ষেই সংশোধনাগার করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যাতে মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, চোরসহ নানা অপরাধ করে আসা আসামীরা বের হয়ে কাজ করে জীবন যাপন করতে পারে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে তাঁতপল্লী ও হস্ত শিল্প, পাওয়ার লুম, দর্জি প্রশিক্ষণ, পুথির কাজ, ইলেকট্রিক এন্ড হাউজ ওয়ারিং এর মত বিষয়গুলো হাজতিদের ট্রেনিং করানো হচ্ছে। পাশাপাশি কয়েকদিরাও শিখছে এসব কাজ।
জেল সুপার জাকের হোসেন বলেন, বন্দিদের আলোর পথে আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে নাম স্বাক্ষরসহ লেখাপড়া শেখা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি পাওয়ার লুম, দর্শি, হস্তচালিত তাঁত, ইলেকট্রিক, সঙ্গীত চর্চার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দিদের মাঝে পরিবর্তণ আনার পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীসহ অন্য আসামীদের আলোর পথে আনতে এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :