ফরহাদ আমিন : রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলায় ২৩ জানুয়ারি অন্ত.বর্তীকালীন আদেশ দেবে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)।
আইসিজে’র রায় তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার পথকে সুগম করবে বলে মনে করছে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে উখিয়া ও টেকনাফে ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া এই শরণার্থীরা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত মোঃ হোসেন বলেন,মিয়ানমার সেনাবাহিনী ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে।আরো দুই ভাই এখনও রাখাইন রাজ্যে বন্দি।মিয়ানমারে আমরা যে অত্যাচারের শিকার হয়েছি, আশা করছি এই রায়ে তার বিচার মিলবে।
বাংলাদেশ শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মাহবুবুল আলম তালুকদার বলেন, আমরাও আশাবাদী। নিশ্চয়ই আইসিজের আদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের একটা পথ বের হয়ে আসবে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালায় মিয়ানমার। সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদী বৌদ্ধরা হত্যা, গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে নতুন করে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে গণহত্য আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত যাতে আরও তীব্রতর না হয় এ জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান