শিরোনাম
◈ হঠাৎ যেভাবে ধানমন্ডির ভোটার হলেন আসিফ মাহমুদ ◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের সমাধান কোন পথে? ◈ ড.ইউনুসের গ্রামীণ নামে যা যা বানাইছেন সবকিছুর বিপদ আছে: কাদের সিদ্দিকী ◈ একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাস, আন্দোলন স্থগিত প্রাথমিক শিক্ষকদের ◈ ফুটবল ফেডা‌রেশন বিসিবির কাছে প‌রিচালক আসিফের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে  ◈ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের গ্যালারির টিকিট ৬ মি‌নি‌টেই শেষ ◈ দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার ◈ দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩, বহু হতাহত (ভিডিও) ◈ বিএনপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিরোধ সামলাতে 'নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের যাচাই'

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:৫০ সকাল
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোটের তারিখ পরিবর্তন চান সবাই

আসিফ কাজল : ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার তারিখ পড়েছে একই দিনে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, সাধারণ ভোটার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), শিক্ষক সমিতি, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

সরস্বতী পূজা ও সিটি নির্বাচন ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সমাধান চায় আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সনাতন ধর্মবলম্বীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ ও সরকারের কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে পূজার দিন ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে অন্যায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, পূজার দিনে অতীতে এরকম নির্বাচনের মতো বড় কোনো ঘটনার আয়োজন করা হয়নি।

ঢাকা উত্তর সিটির আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, পূজার দিন নির্বাচনের তারিখ থাকায় বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে আবারো ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই। এবং সুযোগ থাকলে তারিখ পরিবর্তনেরও দাবি জানান তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইচ্ছাকৃতভাবে ৩০ জানুয়ারি পূজার দিন ভোট দিয়ে বিতর্কটা সৃষ্টি করেছে। আমরা আপিল বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছি।

বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, পূজার দিন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান করাটা উচিত নয়। তাই নির্বাচন কমিশন এই তারিখ পিছাতে পারে বা আগাতে পারে।

এদিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, উচ্চ আদালতে গিয়েও যদি দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আইনানুগ বিচার না পায়, তখন আমরা ভাবি ভবিষ্যৎটা কোথায়? সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় ভোট দেয়। তাদের ভোটের দিন পূজায় ব্যস্ত রাখা হবে।

এখন পর্যন্ত ভোট পেছানোর দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আমরণ অনশনে রয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। অনশনে সংহতি প্রকাশ করে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ৩০ তারিখ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার আগে তাদের ভাবা উচিত ছিল যে, এই তারিখ নির্ধারণ কোনো মূল্যবোধ বা কোনো চেতনার পরিপন্থী হয় কি-না।

ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর এ ঘটনাকে সমালোচনা করে বলেছেন, ভোট ও পূজা একই দিনে হওয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটি সরকারের একটি নীল নকশা। সম্পাদনা : মাসুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়