লুৎফর রহমান হিমেল : বাজার থেকে কেনা কোনো ভোগ্য পণ্য মিলবে না যাতে ভেজাল নেই। কেউ বিক্রি করছে, কেউ কিনছে। ফরামালিন দেওয়া মাছ যে বিক্রি করছে, সে আবার ভেজাল আটা-ময়দা কিনছে। কেউই আসলে নিরাপদ থাকতে পারছেন না। এভাবে পরস্পর আমরা পরস্পরকে আসলে হত্যা করে চলেছি। প্রাণঘাতী রোগ নিয়ে হাসপাতালে ছুটছি। সেখানেও নৈরাজ্য। এভাবে গোটা দেশটাই আমরা একটা কুরুক্ষেত্র বানাচ্ছি দিনে দিনে। এসব করছি সামান্য ব্যক্তিস্বার্থের জন্য, অর্থকড়ির জন্য।
দেশের প্রতিটি ইঞ্চিতে দুর্নীতি। এমন পরিস্থিতি এক মাস, এক বছর বা এক দশকে তৈরি হয়নি। ধীরে ধীরে হয়েছে। এটার দায় শুধু রাজনীতিকদের দিয়ে লাভ নেই। আপনার-আমার সবার দায় আছে। প্রজন্মকে রক্ষার জন্য তরুণদেরই আগে সোচ্চার হতে হবে। তাদের শক্তিকে ভয় পায় দুর্নীতিবাজরা। দেশের মাথা বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকরা। তারা বিক্রীত-বিকৃত। করপোরেট স্বার্থের বাইরে তারা একটি শব্দও লিখতে পারবে না, পারে না। ফলে তাদের উপর নির্ভর করেও লাভ নেই। সোশ্যাল মিডিয়া এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তরুণরা যদি মনে করে, বিদেশে-ভিন দেশে গিয়ে বিমাতার সেবা করা নয়, এ দেশকে তারা তাদের বসবাসযোগ্য করতে চায়, তারাই পারবে। একমাত্র তরুণদেরই আমার বিশ্বাস হয়, বাকিদের নয়। তরুণরা এখনো পুরোপুরি নষ্টের পথে যায়নি। ফেসবুক থেকে