শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৩৯ সকাল
আপডেট : ১৭ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পূজার দিনেই কেন ভোট, ব্যাখ্যা দিলেন ইসি সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ৩০ জানুয়ারি স্বরস্বতী পূজার দিনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করায় শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তবে ওই দিন এ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কারণ ব্যাখা করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা, মার্চ স্বাধীনতার মাস, এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের নানা প্রোগ্রাম আছে। আবার এপ্রিলে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। মে মাসে নির্বাচনের যে তারিখ আছে, তা কোনোভাবেই করা সম্ভব না। শিডিউল এমনভাবে দিতে হবে যে, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীদের অবশ্যই কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে প্রচারের জন্য। এ ক্ষেত্রে একদিন কম দিয়ে ১৪ দিন সময় দিলে প্রার্থীরা আবার আদালতে যেতে পারবেন। আদালতও আইনের পক্ষে রায় দেবেন। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কমিশন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গতভাবে ৩০ জানুয়ারি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

ইসি সচিব আলমগীর বলেন, ‘সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখ পূজার কথা বলা আছে। ক্যালেন্ডার তো সেদিন হয়নি, এটি অক্টোবরে হয়েছে। এবং নভেম্বরে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা সরকারের কাছে বলেননি পূজা ২৯ নয় ৩০ তারিখে। সরকার যদি মনে করত পূজা ৩০ তারিখে, তাহলে সেদিন পূজার তারিখ ঘোষণা হতো। আমরাও ২৯ তারিখেই শিডিউল দিতে পারতাম, কোনো সমস্যা ছিল না। সরকারিভাবে ২৯ তারিখ পূজার তারিখ দেওয়ায় সেদিন ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না নির্বাচন কমিশনের।’

নির্বাচন পেছানোর রিট আবেদন খারিজের পর আপিল আবেদন হওয়ার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘আমাদের সবসময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যেকোনো আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনো কাজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আদালত সেটাকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন। সে ক্ষমতা আদালতের আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। সেখান থেকে যদি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসে, সেটা অবশ্যই কমিশনের মেনে নিতে হবে। আমরা আশা করব হাইকোর্ট যেসব যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টেও যারা শুনানি দেবেন, তারা নিশ্চয় সে যুক্তি শুনবেন। এরপরও তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই কমিশনকে সবসময় মেনে নিতে হবে।’

ভোটের তারিখ পেছাতে ছাত্রদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘ছাত্ররা আন্দোলন কেন করছেন, কারা এটিকে সংগঠিত করছেন, সেটার তথ্য আমাদের কাছে নেই। হয়তো কেউ পেছন থেকে তাদের বোঝাচ্ছেন, পূজার দিনে ভোট হচ্ছে। অথবা আদালত যে আদেশ দিয়েছেন বুঝে-শুনেই দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশনও বুঝে শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চয়ই তাদের বুঝানো হচ্ছে না তাদের হয়তো বলা হচ্ছে, গোপন করে অন্যভাবে বোঝানো হচ্ছে। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা ভুল বুঝতেই পারেন। কারণ তাদের তো বয়স কম। আমার ধারণা তাদের এই ভুলটা কেটে যাবে। তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’

এ সময় ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা তার নির্বাচনের পথে বাধা নয় বলেও জানান সচিব মো. আলমগীর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে নির্বাচন কাজ পরিচালনাকারী বা সমর্থকদের যেন গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা না হয়। কিন্তু ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে যে মামলা, সেটা পুরোনো মামলা। এটা একটা দুর্নীতির মামলা। বিষয়টি এমন না যে, এখনই তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘মামলার বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে, এটা আমাদের বা পুলিশের পক্ষ থেকে না। এটা আদালতে শুনানি হয়েছে, আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে একটি তারিখ ঠিক হয়েছে তখন শুনানি দেবেন তারা। এর ফলে ইশরাক হোসেনের নির্বাচনের প্রচারণায় কোনো বাধা নেই। তাকে (ইশরাক হোসেন) গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এমনকি কোনো বাধারও সৃষ্টি করা হচ্ছে না। এটা প্রক্রিয়াগতভাবে হবে। তিনি নির্বাচন করবেন, প্রচারণাও করবেন। এটার কারণে তো নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোনো বাধা নেই।’ সূত্র : আমাদেরসময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়