চিররঞ্জন সরকার : সখ্যালঘু বলেই কি আজ নির্বাচন কমিশনের এই অন্যায্য সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে? এই কি ‘সংখ্যালঘুদের প্রতি সহানুভূতিশীল সরকারের’ আচরণের নমুনা? আরেকটি কথা, উচ্চতর আদালতে এসেও যদি এদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আইনানুগ সঠিক বিচারটি না পায়, তখন এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ কোথায়? তারা কার কাছে যাবে? বাংলাদেশে যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তাদেরও তো ধর্মীয় অনুভূতি আছে। তাদেরও পূজা-অর্চনা করার অধিকার রয়েছে।
কিন্তু সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাদের সেই অধিকারকে ক্ষুম্ন করা হচ্ছে, খর্ব করা হচ্ছে। সবচেয়ে হতাশাব্যঞ্জক হলো পূজার যে পবিত্রতা, ভাবাবেগ, ব্যাপকতা এবং উৎসবের আঙ্গিক, এটাকে কেউই বিবেচনায় আনার প্রয়োজন মনে করেননি। একদিকে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার অভিযোগে শরীয়ত সরকার নামে এক সংগীতসাধক বয়াতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদিকে সরস্বতী পূজার দিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে, আসলে এই রাষ্ট্র কার? এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা, ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের অধিকার কোথায়? তবে কি এই রাষ্ট্রে সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তিদের অধিকার ও মর্যাদা এসব কেবলই প্রহসন? ফেসবুক থেকে