ওয়ালি উল্লাহ: ভূমি থেকে যার দূরত্ব ২ হাজার ৬৮৮ কিলোমিটার বা ১ হাজার ৬৭০ মাইল। জার্মানির ‘ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর মেরিন বায়োলজি’র পাঠানো জাহাজ ‘এফএস-সোনে’ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের অতলে সেঁধিয়ে থাকা অজানা প্রাণীদের সন্ধান পেলো। বুধবার এ খবর দিয়েছেন ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশ্ন রিসার্চ (এনসিপিওআর) এর কর্মকর্তা এম রবিচন্দ্রন।
রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৬ মাস চিলি থেকে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরের ৩ কোটি ৭০ লাখ বর্গ কিলোমিটার বা ১ কোটি ৪০ লাখ বর্গ মাইল এলাকাজুড়ে অভিযান চালানো হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাংশের ওই গভীরতম এলাকায় কোনও প্রাণীর বেঁচে থাকার প্রমাণ এর আগে পাওয়া যায়নি। প্রশান্ত মহাসাগরের ওই জায়গাটির আরেক নাম ‘ওশনিক পোল অব ইনঅ্যাকসেসিবিলিটি’ বা ‘পয়েন্ট নেমো’। যার অর্থ ‘কেউ নেই যেখানে’। কোনও প্রাণ নেই ভেবে এতোদিন ওই এলাকাটিকে ‘মরুভূমি’ বলা হতো। এ সকল কারণে অকেজো, অচল মহাকাশযানগুলো যেখানে বিসর্জনের কথা ভাবতে শুরু করেছে নাসা।
সৌরমণ্ডল ছাড়িয়ে আরও অনেক দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ার স্বপ্ন অনেক পুরনো। কিন্তু পৃথিবীতে যেখানে পৌঁছনোর কথা এর আগে মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি, এই প্রথমবারের মতো সেই গভীরতম প্রশান্ত মহাসাগরের ‘পয়েন্ট নেমো’তেও প্রাণীরা রয়েছে বলে এবার প্রখ
থম জানা গেলো।
রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন, গবেষকদল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ২০ থেকে ৫ হাজার ফুট গভীরতায় ওই প্রাণীগুলোর দেখা পেয়েছেন। যদিও খুবই সামান্য পরিমাণে। ওই গভীরতায় আলো ও অক্সিজেন পৌঁছায় না বলে এতোদিন সেখানে প্রাণ থাকতে পারে, তেমন জোরালো বিশ্বাস ছিলো না বিজ্ঞানীদের। তিনি আরও জানান, ২০ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে সেখানে। এর মধ্যে ‘এসএআর১১’, এসএআর১১৬’, ‘প্রোক্লোরোকক্কাস’ এবং ‘এইজিইএএন-১৬৯’ প্রজাতির একটি ব্যাকটেরিয়ারও পাওয়া যায় সেখানে। সূত্র: আনন্দবাজার
সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম