মহসীন কবির: মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার পুঁজিবাজারে অব্যাহত দর পতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা । ২০১০ সালের পর এটাই বড় দরপতন। গত কয়েকদিন থেকে পুঁজিবাজারে দর পতন হতে থাকে, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সূচক ১০০ পয়েন্ট কম যায়।
দিনশেষে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮৭ পয়েন্ট কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে ডিএসইতে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ২৯৩টির। অপরিবর্তিত থাকে ৩০টি কোম্পানির শেয়ার।
এই দরপতনে দুই স্টক একসচেঞ্জের সূচক ফিরে গেছে প্রায় ৫ বছর আগের অবস্থায়। ২০১৩ সালে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের হিসাব শুরু হয় ৪ হাজার ৯০ পয়েন্ট নিয়ে। যা এখন অবস্থান করছে প্রায় ৪ হাজার ২০ পয়েন্টে, যা শুরুর পয়েন্টের চেয়েও ৭০ পয়েন্ট নিচে। একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও। নতুন বছরের কয়েকদিনের পতনেই ডিএসইর প্রধান সূচক হারিয়েছে ৪০০ পয়েন্টের উপরে। এতে আতঙ্কিত ও দিশেহারা সবধরণের বিনিয়োগকারিরা।
এর আগে ৮ জানুয়ারিত পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতন ঠেকাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর সামনে কালো মুখোশ করে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। কারসাজি করে যারা কোটি কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে তুলে নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
চ্যানেল২৪ ও সময় টিভি