জয় প্রকাশ : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বললেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই দারুণ ক্ষণে তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে জনতার ভালোবাসার উত্তরে শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ করে (অবশ্যই শ্রদ্ধাভরে) বলেছিলেন, সাত কোটি বাঙালি মাতৃভূমি স্বাধীন করে জানিয়ে দিয়েছে তারা মানুষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি একটি গুণ। তিনি পা-ুলিপি ছাড়াই দারুণ বলেন। মানবিক ও প্রাণবন্ত আর দুর্দান্ত কিছু রেফারেন্স উপস্থাপন করেন। ২. মধ্যরাতে অফিস থেকে যখন তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম, আমার ঘোরগ্রস্তদশা হয়েছিলো। ভাবছিলাম, এখানে বাহাত্তরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।
আমি তার পাশ দিয়ে যাচ্ছি। এটাও একটা সৌভাগ্য বটে। যেন দূর থেকে আমি ঝাপসা দেখতে পাচ্ছিলাম বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারিকে। দেখতে পাচ্ছিলাম হাজারো মানুষের পরম অপেক্ষা। আমার গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে বাড়ির দিকে আর আমি ডানদিকে মুখ ঘুরিয়ে দেখছি পাহাড়সম নেতা শেখ মুজিব নামছেন বিমান থেকে। সেই সরল, কিন্তু বলিষ্ঠ হাসিমুখ। তিনি আনন্দিত। কেননা ফিরে এসেছেন প্রিয় স্বাধীন দেশে, প্রিয় জনতার মাঝে। হায়! সেই দিন তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, তাকে হত্যা করা হবে। করবে সেই জাতিরই কেউ, আবার যাদের অনেকেই তার প্রিয়ভাজন, হায়! ৩. আমার দুর্ভাগ্য আমিও বাঙালি। দুর্ভাগ্য বলছি এই জন্যই যে, বাঙালির হাতেই প্রাণ দিতে হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে। যাদের তিনি নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। ভালোবেসেছিলেন খুব। ৪. ইতিহাসে আমরা অমানুষের মতো একটি পাপচিহ্ন এঁকে রেখেছি। ১৫ আগস্ট। বিশ্বাস ও ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছি হত্যার মধ্য দিয়ে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :