শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৫১ দুপুর
আপডেট : ১২ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হিমালয় অঞ্চলে নতুন গজানো লতাগুল্ম দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা

রাশিদ রিয়াজ : হিমালয়ের কোলে নতুন করে উদ্ভিদের সন্ধান জানান দিচ্ছে আবহাওয়া ও পরিবেশের পাল্টে যাওয়া। সম্প্রতি ‘গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি’ নামের একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের অনেক উচ্চতায় পুরু বরফের আস্তরণের মাঝে উঁকি দিয়েছে সবুজ গুল্ম, ঘাস। এর আগে যা কখনও ওই উচ্চতায় দেখা যায়নি। স্যাটেলাইটে সেই ছবি দেখেই নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে ওই এলাকার পরিবেশ, আবহাওয়া সম্পর্কেও নতুন ধারণা হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের মোটি তিনটি জায়গায় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীদের একটি দল। তার মধ্যে রয়েছেন পৃথিবীর একাধিক দেশের পরিবেশবিজ্ঞানী, ভূবিজ্ঞানী, উদ্ভিদবিজ্ঞানী। নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়। ট্রি লাইন অর্থাৎ যে অঞ্চলে গাছের সারি, স্লো লাইন অর্থাৎ যে অঞ্চলজুড়ে বরফপাত হয় এবং এই দুয়ের মাঝামাঝি অঞ্চলে চলেছে গবেষণা। ৪১৫০ থেকে ৬০০০ মিটার উচ্চতাজুড়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ৫০০০ থেকে ৫৫০০ মিটার উচ্চতায় গুল্ম ও ঘাসের সারি তৈরি হয়েছে নতুন করে। তার চেয়েও বেশি উচ্চতায় যেখানে কিছুটা সমতল, সেখানেও এসব দেখা গিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা নাসার স্যাটেলাইট ছবিরও সাহায্য নিয়েছেন এই গবেষণার জন্য। হিন্দুকুশ পর্বতমালার মায়ানমার থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে স্যাটেলাইট ক্যামেরা কড়া নজর রেখে পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে। এভারেস্ট অঞ্চলেও একইরকম নজরদারি চলেছে। আর ইতিবাচক সাড়া মিলেছে এখানেই। বিভিন্ন লতাগুল্ম, ঘাস, ফুলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের ভূবিজ্ঞানী ওয়াল্টার ইমারজেলের কথায়, ”বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে এই এলাকা তুলনামূলকভাবে উষ্ণ ও সিক্ত হয়ে গিয়েছে। যা উদ্ভিদ জন্মানোর পক্ষে অনুকূল। এখানে যে স্নো লাইন রয়েছে, তা ক্রমশ বিলীন হয়ে গিয়েছে।” নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অচ্যুৎ তিওয়ারি বলছেন, ”নেপাল ও চিনের মধ্যে ট্রি জোন অনেকটা বেড়েছে বলে আমাদের চোখে পড়েছে।” বহু উদ্ভিদবিজ্ঞানী নিয়মিত এই এলাকায় গিয়ে ছবি তুলে, তা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন। তেমনই একজন এলিজাবেথ বায়ার্স। যিনি বলছেন, ”যেসব জায়গায় একসময়ে হিমবাহ ছিল, সেখানে এসব লতাগুল্ম বেশি জন্মেছে। গত ৪০ বছরে যা ভাবা যায়নি। এমনকী বহু বহু বছর আগেকার যেসব হিমবাহ গলে গিয়ে সেখানে বোল্ডার পড়েছে, সেখানেও ফাঁকে ফাঁকে মস দেখা যাচ্ছে।”

হিমালয় অঞ্চলের এই পরিবর্তন দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাটি এবং বরফের সঙ্গে উদ্ভিদের সম্পর্ক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এধরনের জীববৈচিত্র্য, তার রাসায়নিক ও ভৌত বিশ্লেষণ নিয়ে আরও বিশদে জ্ঞান সঞ্চয়ের প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা। এধরনের উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য মাটি যে ন্যূনতম সিক্ত থাকা প্রয়োজন, সেটাও কোথা থেকে হচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। ফলে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে সবুজের বৃদ্ধি ভূবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞানের নয়া দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও অনেকটা এগিয়ে যাওয়া যাবে বলে আশাবাদী গবেষকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়