আব্দুল ওয়াহাব: শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী শনিবার বিকালে থানায় এসে মা এবং আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মা ও ফুফুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, উপজেলার খোট্টাপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেন ও মা রূপালী বেগম দুবছর আগে ওই ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেন। কিন্তু, সে স্বামীর সংসার করেনি। বাবা-মা ক্ষিপ্ত হওয়ায় সে পাশের মাদলা গ্রামে ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পাশাপাশি স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতে থাকে। ৩১ ডিসেম্বর মা তাকে আবারও বিয়ে দিতে জোর করে ফুফুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে মারধর করে শিকল দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এতেও রাজি না হলে তাকে মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার এসআই রামজীবন ভৌমিক জানান, মেয়েটি একটি স্কুলে পড়ালেখা করে। তার মাথা ন্যাড়া করার মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, তার মার অভিযোগ- মেয়ে তাদের কথা শুনত না বলেই মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান