মাজহারুল ইসলাম : রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বাস্তবতায় এই মুহূর্তে জোরালো আন্দোলন করার সক্ষমতা নেই বিএনপির। আর তাই রাজপথে কঠোর আন্দোলনে না গিয়ে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার পক্ষে দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে এমনই তথ্য জানিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী একজন নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, আগে দলের কাউন্সিল করতে হবে। কারণ, দল হিসেবে বিএনপির ব্যর্থতা অনেক। এই ব্যর্থতার দায় বর্তমান নেতৃত্বের। সে কারণেই কাউন্সিল করা জরুরি। ওই নেতা আরও বলেন, স্থায়ী কমিটিতে এ ব্যাপারে এখনও কোনও আলোচনা না হলেও আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মধ্যেই কাউন্সিল করা উচিত।
এদিকে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন গতকাল সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল নয়া পল্টনের কার্যালয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আমরা ওই কর্মসূচি দিয়েছি। আমাদের সমাবেশ বানচাল করতে পুলিশ সকাল থেকে দলীয় কার্যালয় এবং আশপাশের সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধংদেহী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
অপরদিকে, গত বছর ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে ‘গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলন’ মঞ্চের ব্যানারে কয়েকটি বিরোধী দল সমাবেশ করছে। এই মঞ্চ থেকে নতুন করে সরকার পতনের জন্য জনগণকে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ওই সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেছেন, এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে আমরা ঘরে ফিরবো না। এই সরকারের পদত্যাগ হলেই আমরা গণতন্ত্র ফিরে পাবো। দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। নেতা-কর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা লোক দেখানো আন্দোলন করতে চাই না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে সকল মানুষকে এক মঞ্চে এনে এই সরকারের পতন ঘটাতে চাই। সম্পাদনা : তৌহিদ এলাহী
আপনার মতামত লিখুন :