জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: হিমালয়ের কাছাকাছি জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় অন্যান্য এলাকার তুলনায় শীতের প্রকোপ এখানে একটু বেশি। গত চার দিন ধরে সূর্য্যের দেখা মিলছে না। বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। তীব্র ঠান্ডার সঙ্গে হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
গত শুক্রবার উপজেলায় তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। এখানে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দিনে ও রাতে ঝিরঝির বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। জরুরি দরকার ছাড়া ঘড়ের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করছে। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। তারা কাজে যেতে পারছেন না। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও।
কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ৮ হাজার কম্বল বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করেছেন। আরো শীতবস্ত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে উপজেলা শহরের পুরাতন গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে সাধারণ মানুষের ভিড় করছে। তবে পুরাতন কাপড়ের দোকানে মানুষের ভিড় বেশি। কম দামে গরম কাপড় সংগ্রহ করতে তারা ব্যস্ত। ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, দাম মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে শীত বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় কিছুটা দাম বেড়েছে বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলেন, শীত এ উপজেলার একটা বড় সমস্যা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। প্রচুর শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আরো করা হবে। তেমন কোনো সমস্যা হবে না। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক