মাহফুজুর রহমান : আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জল-স্থল ও অন্তরীক্ষে দাপিয়ে বেড়ালেও আপনি খেয়াল করবেন যে তাদের মধ্যে একটি অস্থিরতা ও ভীতি কাজ করছে। একটা অদৃশ্য শক্তিমান প্রতিপক্ষ যে আছে তা আপনি তাদের কথাবার্তা চলনে-বলনে একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন। তারা সেই অদৃশ্য শক্তিকে মুখে আকারে ইংগিতে তাচ্ছিল্য করলেও সুখ নিদ্রা যে হয় না তা তাদের কথাবার্তার মধ্যেই প্রকাশ পায়। সংসদে বর্তমান বিরোধী দল কে নিয়ে তারা মোটেও চিন্তিত নয়, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সপ্তাহে মাসে একটি শব্দও তারা উচ্চারন করেন না, উচ্চারণ করার দরকারও মনে করেন না। তবে আরেকটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে তারা নানা রকম প্রতিরক্ষা বুহ্য দিবারাত্র তৈরি যে করছেন তা একটু সামান্য খেয়াল করলেই আপনি পাবেন। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক সমস্যা নাই , হোক জাতীয় পার্টি বিরোধী দল, তাতেও সমস্যা নাই, বিএনপি সংসদে তৃতীয় দল হিসেবেই থাকুক তাতেও সমস্যা নাই, কিন্তু বিএনপিকে কেন এতো কম আসন দিতে হবে? আর কেনই-বা আওয়ামী লীগকে এতো বেশি আসন নিতে হবে? ৪ঃ৩ঃ২ এভাবে আসন বিন্যাস করা যেতো না? কেউ হয়তো বলতে পারেন, জনগণ যাকে পেরেছে নির্বাচিত করেছে, এমন ভাবলে অবশ্য বলার কিছু নাই।
এন্টি চেতনাকে গলা টিপে না ধরে মোটামুটি সম্মান দেখিয়ে দূরত্ব রেখেও চলা যেতো, বরং সেইটাই নিরাপদ হত সবার জন্য। এখন না পারা গেলো নির্মূল করতে, না পারা গেলো সম্পর্ক ভালো রেখে নিরাপদ দূরত্ব মেইনটেইন করতে? অর্থাৎ একটি আতঙ্কের ঘরেই বন্ধুদের নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরিয়ানি খাওয়া আরকি। দিন যতো পার হবে, প্রশাসন ও অন্যান্যতেও বিরক্তের বাতাস বইবে, এটা যে কেউ বলে দিতে পারে। পাকিস্তান ও ভারতের প্রশাসন ও আদালতে তা দেখাই যায়। সুতরাং সময় থাকতে শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :