তরিকুল ইসলাম: নেদারল্যান্ডসের হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস’-এ (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও নির্যাতনের অপরাধের দায়ে প্রকাশ্যে অপরাধ স্বীকার করার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাত নোবেলজয়ী।একইসঙ্গে এই গণহত্যার জন্য সু চি ও মিয়ানমারের সেনা কমান্ডারদের জবাবদিহিতার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে নোবেল জয়ীরা এই আহ্বান জানান।বিবৃতিতে নোবেল জয়ীরা বলেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আমরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হওয়া গণহত্যাসহ অপরাধগুলো প্রকাশ্যে স্বীকার করার জন্য নোবেলজয়ী অং সান সু চি’র প্রতি আহ্বান জানাই। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, এই নৃশসংসতায় নিন্দা জানানোর পরিবর্তে সেটা অস্বীকার করেছেন সুচি।
বিবৃতিতে নোবেলজয়ীরা বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর ঘটনায় মিয়ানমারকে দায়ী করার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা গাম্বিয়ার প্রশংসা করি। শান্তির মানুষ হিসেবে আমরা রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য মোকাবিলা ও রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা, ভূমির মালিকানা, আন্দোলনের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।আমরা সু চিকে নৈতিক দায়িত্ব পালনের এবং তার নজরদারির অধীনে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি ও নিন্দা জানাতে অনুরোধ করছি।
ওই বিবৃতিতে সই করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের শিরিন ইবাদি, লাইবেরিয়ার লেমাহ গবোই, ইয়েমেনের তাওয়াাক্কুল কার্মান, উত্তর আয়ারল্যান্ডের মাইরেড মাগুয়ের, গুয়েতেমালার রিগোবার্টা মেনচ তুম, যুক্তরাষ্ট্রের জোডি উইলিয়ামস ও ভারতের কৈলাশ সত্যার্থী।
রোহিঙ্গাদের প্রতি নৃশংসতার অভিযোগে গত নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।আন্তর্জাতিক আদালতে ৪৬ পৃষ্ঠার এক অভিযোগপত্র দেয় দেশটি। সেখানে তারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও উচ্ছেদের অভিযোগ আনে। গতকাল গাম্বিয়া আইসিজে নিজেদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। আজ মিয়ানমার তাদের স্বপক্ষে যুক্তি প্রদান করবে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ওই মামলার ধারাবাহিক শুনানি চলবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। মিয়ানমার ও গাম্বিয়া দুই দেশের প্রতিনিধি দলই এতে অংশ নিয়েছে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিও আদালতে হাজির ছিলেন। সম্পাদনা : ভিক্টর কে. রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :