শিরোনাম
◈ ভালুকায় হিন্দু যুবককে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা, কী ঘটেছিল সেখানে ◈ পদত্যাগ করে ধানের শীষে নির্বাচন করার ঘোষণা অ্যাটর্নি জেনারেলের ◈ গ্রিসের ক্রিট উপকূলে মাছ ধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫ শতাধিক আশ্রয়প্রার্থী উদ্ধার ◈ প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু, যে প্রক্রিয়ায় ভোট দেবেন তারা ◈ বিশ্ব গণমাধ্যমে শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় জনস্রোতের খবর ◈ শহীদ হাদির কবর দেখতে মানুষের ভিড়, রাতেও থাকবে পুলিশি প্রহরা ◈ হা‌দির মৃত‌্যু‌তে গ‌র্জে উ‌ঠে‌ছে বাংলা‌দেশ, যৌথবাহিনীর অভিযান আর গানম্যানে কি আইন-শৃঙ্খলা ফিরবে? ◈ প‌শ্চিমব‌ঙ্গে মোদীকে গোব্যাক ব‌লে, বাংলা‌দে‌শি অনুপ্রবেশকারীদের বলে না- অভিযোগ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর  ◈ মৃত্যুর কিছুদিন আগে সাক্ষাৎকারে যেসব কথা বলেছিলেন ওসমান হাদি (ভিডিও) ◈ তফসিলের ২ বিষয়ে সংশোধনী এনে ইসির প্রজ্ঞাপন

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:০২ দুপুর
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১০:০২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোববার কালকিনি হানাদার মুক্ত দিবস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে যাদুঘর নির্মাণ করার দাবি

এইচ এম মিলন,কালকিনি প্রতিনিধি : আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। তবে এ দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়ানোসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি যাদুঘর নির্মাণ করার দাবি করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় পৌর এলাকার ভূরঘাটার পাশে লাল ব্রিজের উপর সাধারন মানুষ ধরে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দিতো পাকহানাদার বাহিনী।

সেই সময় কালকিনি উপজেলার ৫ জন কমান্ডারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলার সিডিখান, এনায়েতনগর, সমিতিরহাট এলাকা ছাড়াও পাশের বরিশালের গৌরনদী ও মুলাদী উপজেলা ও কালকিনির সীমান্তবর্তী ৩টি স্থানে মুখোমুখি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পাকবাহিনীকে পরাস্ত করেন। পরে ৮ ডিসেম্বর কালকিনি উপজেলাকে পুর্ণরুপে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে,৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে কালকিনি পৌর এলাকার ভূরঘাটায় একটি ক্যাম্প স্থাপন করে পাকহানাদার বাহিনী। সেখানে মানুষ ধরে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিত পাকবাহিনী। এ ছাড়া লাল ব্রিজের নিচের পানি মানুষের রক্তে রঞ্জিত হওয়ায় পরেই এই ব্রিজের নামকরণ করা হয় লালপোল বা লালব্রিজ। যা এখনও মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত। ১৯৭১ সালের এই দিনে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের ঝড়ো আক্রমণে কালকিনি উপজেলা ত্যাগ করতে বাধ্য হয় পাকহানাদার বাহিনী।

এরপর ৮ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা পুরোপুরি হানাদার মুক্ত হয়। এরপর ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও আটকে পরা পাকবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কালকিনির মুক্তিযোদ্ধাদের ২২ দিন যুদ্ধ হয় পার্শবর্তী বরিশালের গৌরনদী উপজলোয় । সেখানেও অংশগ্রহণ করে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানেও পাকবাহিনি যুদ্ধে হেড়ে যায়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়ানোসহ এবং মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি যাদুঘর নির্মাণ করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন কালকিনির মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি রহস্যজনক কারণ পুরণ হচ্ছেনা।

উপজেলা সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আ. জলিল আকন বলেন, ১৯৭১ সালে ৮ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সম্মূখ যুদ্ধে তাদের পরাজিত করে কালকিনি থানাকে আমরা কলঙ্কমুক্ত করি। কালকিনি মুক্ত দিবসে উপলক্ষে আমরা মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি জাদুঘর করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তা আর হচ্ছেনা।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ৮ ডিসেম্বর কালকিনি মুক্তদিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আরও কিছু করা পরিকল্পনা আছে। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়