শাহানুজ্জামান টিটু : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা কোন পর্যায়ে তা জানেন না তার পরিবার। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর তার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা। এরমধ্যে ২৩দিন পার হয়েছে শুক্রবার। সাক্ষাতের জন্য গত ২৪ নভেম্বর ভাই শামীম ইস্কান্দার কারাকর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন কিন্তু এখনো সাক্ষাতের অনুমতি পাননি বলে জানা গেছে। ফলে গত ২৩দিন ধরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার বিষয়ে সর্ম্পূণ অজানা তাদের। এ নিয়ে পরিবার উদ্বিগ্ন ও চিন্তাগ্রস্থ বলে জানা গেছে। এর আগে প্রতিমাসে দুবার সাক্ষাতের সুযোগ পেতেন পরিবারের সদস্যরা।
খালেদা জিয়ার পরিবারের বরাত দিয়ে তার একান্ত সহকারি আবদুস সাত্তার জানান, গত ২৩দিনেও সাক্ষাতের অনুমতি পাননি ম্যাডামের পরিবারের সদস্যরা। একারণে ম্যাডামের এখন কি অবস্থা জানার কোনো সুযোগ নেই। কোনোভাবেই আমরা জানতে পারছি না। ফলে পরিবারসহ আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। তিনি বলেন, আমরা কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু এখন তারা ফোনও রিসিভ করছেন না। গত ১৩ তারিখ পর্যন্ত আমরা জানি তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না। নিজে হাঁটাচলা করতে পারছেন না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে।
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. জিলান মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন রেখে দেন।
খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, পঙ্গুত্বের আশঙ্কার কথা বলেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব)।
গত বুধবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনেও এই আশঙ্কার কথা জানান সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত অসুস্থ যে তিনি কারও সাহায্য ছাড়া চলাফেরা-খাওয়া, এমনকি শরীরের তীব্র ব্যথার কারণে ভালোভাবে ঘুমাতেও পারছেন না। যে কোনো সময় স্থায়ী পঙ্গুত্বের আশঙ্কা করছি। আমরা আশা করি, মাননীয় আদালত তাকে তার প্রাপ্য জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেবেন। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :