মুসবা তিন্নি : আর ২৫ দিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে নতুন বছর। নতুন বছরের প্রথম দিনেই দেশ জুড়ে যে খুশির বন্যা বয়ে যায় তার নতুন বই নিয়ে। নতুন বছরে নতুন বই। দেশ জুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে যেনে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। ইতোমধ্যে শিক্ষা অফিসগুলো এর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে যেতে শুরু করেছে নতুন বই। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে নতুন বই। রাজশাহী টাইমস
এ বছর রাজশাহী জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬০ লাখের বেশি বই বিতরণ করা হবে পর্যায়ক্রমে। বছরের প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীরা যেনো সব নতুন বই হাতে পায় সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষা অফিসগুলো। বুধবার রাজশাহী মহানগরীর গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতাধিন রাজশাহী জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।
নওহাটা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ভো.) বিদ্যালয়ের সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল হান্নান চৌধুরী জানান, নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়াটা বর্তমান সরকারের অন্যতম সফলতা। এই সফলতা জাতিকে আরো বেশি সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।
সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল হান্নান চৌধুরী আরো জানান, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন একজন দক্ষ মানুষ। তার এ দক্ষতায় নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই নতুন বইগুলো বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে গেছে। এটা একটি কষ্টসাধ্য কাজ।
তিনি বলেন, আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নওহাটা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ভো.) বিদ্যালয়ের ৪০০ জন শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীর জন্য ৭ হাজার ২০০ বইয়ের চাহিদা আছে। প্রায় সব নতুন বই ইতোমধ্যে তিনি পেয়েছেন। সামাধ্য কিছু সংখ্যাক বই পাওয়া যায়নি। আমি আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেই বইগুলো আমরা হাতে পেয়ে যাবো।
নগরীর খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার সিনিয়র শিক্ষক নাজমুল হক রানা জানান, শিক্ষার্থীরাও বছরের প্রথম দিনটার দিকে তাকিয়ে থাকে। নতুন বই হাতে নেয়ার মজাটাই আলাদা।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, রাজশাহীতে মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০১৯ সালের পহেলা জানুয়ারি ৪৫ লাখ বই বিতরণ করা হয়েছে। এ বছরও চাহিদা কিছু কমবেশি তাই। আমরা এটি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরবে বলে আশা করছি।