সুজিৎ নন্দী : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র (ডিএনসিসি) আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশনের কোন মাঠে কোন ধরনের মেলা হবে না। আমরা এর অনুমতি দেব না। এগুলো তোমরা (শিশু-কিশোর) ব্যবহার করবে। যদি কোথাও কেউ সমস্যা করে, তোমাদের খেলতে না দেয়, তাহলে ৩৩৩ এর কল করে বলবে, আমার খেলার মাঠে আমাকে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা দ্রæত ব্যবস্থা নেব। আমরা ২৪টি খেলার মাঠ ও পার্কের সংস্কার ও উন্নয়ন করছি, যার ১৭টিতেই সিসি টিভি ক্যামেরা এবং এলইডি লাইট থাকবে। বনানী ১৮ নম্বর রোডের মাঠে শুধু নারী ও শিশুরা খেলবে। আর বাকিগুলোতে ও একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা একটি নির্দিষ্ট জায়গা কিশোরীদের জন্য আলাদা করে দেওয়া যায় কি না আমরা দেখব। তিনি বলেন, আমাদের কিশোরীদের অনেক ধরনের সমস্যা থাকে, কিন্তু আমরা সেগুলো হাসপাতালে বা ফার্মেসিতে বলতে পারি না কারণ সেখানে পুরুষ বেশি। আমি ঘোষণা দিচ্ছে-যেসব ফার্মেসিতে শতভাগ নারী কর্মী থাকবেন তাদের থেকে কোন ধরনের কর নেবে না সিটি করপোরেশন।
আজ বুধবার নগর ভবনে কিশোর-কিশোরীদের সাথে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামে ‘আমরাও বলতে চাই’ শীর্ষক এক সংলাপে একথা বলেন। মেয়র বলেন, তোমাদের সাহস করে কথা বলতে হবে। তোমাদের অধিকার তোমাদেরকেই আদায় করে নিতে হবে। আজকে যে দাবীগুলো তোমরা উপস্থাপন করলে সেগুলো আমরা বিভিন্ন মেয়াদে সমাধান করবো। সংলাপের পরে মেয়র কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে গুলশানস্থ বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্ক পরিদর্শন করেন। কিশোরীদের উদ্দেশ্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, সিটি করপোরেশনের মাতৃসদন হাসপাতালগুলোতে নারী চিকিৎসক আছেন, সেখানে কিশোর কিশোরী কর্নার আছে। তোমরা সেখানে আসতে পারো। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরাও ভিজিটে তোমাদের কাছে যাবে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকা থেকে, বিশেষ করে সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরীগণ এ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। কিশোর-কিশোরীরা পরিবেশ দ‚ষণ, শিশুশ্রম, খেলার মাঠ, নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যসেবা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, বস্তির আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে মেয়রের কাছে দাবি তুলে ধরেন। সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা সচিব রবীন্দ্রশ্রী বডুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর মঞ্জুর আহমেদ, ইউনিসেফ এর নগর বিশেষজ্ঞ শামীমা সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।