আমিরুল ইসলাম : একদিকে মুজিববর্ষ উদ্যাপনের আগে প্রতি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালার প্রতিশ্রুতি অন্যদিকে ফের বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। তেইশ দশমিক সাতাশ শতাংশ দর বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপরীতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) মূল্যায়ন কমিটি উনিশ দশমিক পঞ্চাশ শতাংশ বাড়াতে বলেছে। বিদ্যুতের পাইকারি দামের পাশাপাশি সঞ্চালন মাশুলও বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। দশ বছরে দাম বেড়েছে আটবার। নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ার পেছনে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, অদক্ষতা, অজ্ঞতা কাজ করছে। এগুলোর কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি হচ্ছে। ঘাটতির যৌক্তিকতা ও বিশ্লেষণ ছাড়াই বারবার মূল্য বৃদ্ধি ভোক্তাদের অধিকার খর্বের শামিল। মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করার আগে ঘাটতির যৌক্তিকতা বিচার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করা এবং গণশুনানিতে বা জনগণের সামনে উন্মোচন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের মূল্য কী করে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায় সেই চেষ্টা কখনো করা হয় না। এতে করে বারবার মূল্য বৃদ্ধি করতে হয়। নানাভাবে অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহণ এবং ব্যয় বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি সরকার বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বেসরকারি খাতে সঞ্চালন ব্যবস্থা ছেড়ে দিতে চাচ্ছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি কেন্দ্রের মতোই তাদের জন্যও ক্যাপাসিটি পেমেন্ট রাখা হচ্ছে। এটা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ভালো ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পাদনা : আশিক/মাহবুব
আপনার মতামত লিখুন :