শিরোনাম
◈ বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু বউকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার! ◈ গণমামলা আর গণআসামির নেপথ্যে চাঁদাবাজি? ◈ সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করার জেরে তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি - যা জানা যাচ্ছে ◈ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ গ্যাস সঙ্কটে ১৬২০ কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করছে সরকার ◈ সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা-বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ◈ প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে: এনবিআর  ◈ জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত সরকারের, আমরা প্রতিহত করবো: নুরুল হক (ভিডিও) ◈ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী করতে

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ০২:৩৯ রাত
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০১৯, ০২:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবরারের পরিবার জামায়াত-শিবির, বললেন কুষ্টিয়ার এসপি

দৈনিক আমাদেরসময় ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের পরিবার জামায়াত শিবির বলে দাবি করেছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত।

এদিকে নিহত আবরারের ছোট ভাই ফায়াজকে পুলিশ মারধোর করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সে বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পক্ষ থেকে এসপির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। এখানে সবাই উপস্থিত আছেন। এসব মিথ্যা প্রগাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। ভিসিকে মারতে পারে নাই এ জন্য।’

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কি ভিসির ওপর আক্রমণের কোনো চেষ্টা করেছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, ‘এলাকাবাসী না, ওদের ফ্যামিলি (পরিবার) জামায়াত শিবিরের লোকজন। জামায়াতের লোকজন আক্রমণের চেষ্টা করেছিল।’

এতে কি আপনাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এমন প্রশ্নে এসপি বলেন, ‘না কোনো সংঘর্ষের ঘটনাই ঘটেনি। চড়-থাপ্পড়দের ঘটনাও ঘটে নাই।’

এর আগে, বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আবরারদের বাড়ি যান তার কবর জিয়ারত করতে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন ও পুলিশের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ উপস্থিত সবাই নিহত আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন।

ভিসির আসার খবর আগাম জানতে পেরে গ্রামবাসী আগে থেকেই নিহতের বাড়িতে ভিড় জমান। অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে এবং ভিসির নিরাপত্তার জন্য কুমারখালীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কবর জিয়ারত শেষে ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম নিহতের বাবা বরকত আলী ও পরিবারের অন্যান্যদের সান্ত্বনা দেন এবং সহানুভূতি প্রকাশ করনে।

তবে বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম নিহত আবরার ফাহাদের ঢাকার জানাজায় উপস্থিত না হওয়ায় জনমনে গভীর ক্ষোভের সঞ্চয় হয়। কবর জিয়ারতের পর পরই ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে। তারা ভিসির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মারমুখো হয়ে উঠলে ভিসি পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন।

প্রসঙ্গত, গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়