হ্যাপি আক্তার : শুল্কায়নে জটিলতা, মিথ্যা ঘোষণায় আটক পণ্য ছাড় না নেয়াসহ নানা কারণে জমেছে এগুলো। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। ডিবিসি নিউজ ১৩:০০
প্রায় ৪৯ হাজার টিইউএস কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের স্তুপ শুধুই বড় হচ্ছে। বন্দরে জমে থাকা কন্টেইনারের ২৫ শতাংশই নিলামযোগ্য। এগুলোতে খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে মেশিনারিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। যার বড় অংশই ডাম্পিং করতে হবে। কিন্তু নানা জটিলতায় নিলাম প্রক্রিয়া চলছে ধীরগতিতে আর ধ্বংস কার্যক্রমেও নেই তৎপরতা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, নিলামের প্রক্রিয়াটা কাস্টমসের ব্যাপার। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলাম করে না। এই কন্টেইনারগুলো নিলাম করা হলে ওই জায়গায় এক্সপোর্ট কন্টেইনারের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
মাসে ২ বার নিলামে পণ্য বিক্রি ও ৬ মাসে একবার পণ্য ধ্বংসের বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক আমদানিকারক আদালতের শরণাপন্ন হওয়ায় নিলাম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, ‘সময়ের মধ্যে যে পণ্যগুলো বিক্রি হবে না, সেগুলো দ্রæত নিলামের ব্যবস্থা করা হবে। আমদানি করা পণ্য যদি আনলোডের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে, সেটা তো বন্দরে সমস্যা তৈরি করবেই। সেই উদ্যোগও আমাদের আছে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিলামযোগ্য কন্টেইনারের কারণে কন্টেইনার জটে পড়তে হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরকে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবল আলম বলেন, কন্টেইনারগুলো পড়ে থাকতে বন্দরে আসেনি। যতো তাড়াতাড়ি এগুলো সরানো হবে ততোই মঙ্গল।
অভিযোগ রয়েছে, কাস্টমস হাউজে কাঙ্খিত উৎকোচ ছাড়া তৎপর হয় না নিলাম শাখা। নির্ধারিত সময়ে নিলাম করা গেলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেতো সরকার। সম্পাদনা : অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :