শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৩ দুপুর
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এটা টেকনিক্যাল বিষয়, আমাদের কিছুই করার নেই

ওয়ালি উল্লাহ : কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে সার্বক্ষণিক খবর আদানপ্রদানে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে রয়েছে ইন্টারনেট ও উন্নত প্রযুক্তি। থ্রিজির পাশাপাশি কিছু ক্যাম্পে ব্রডব্যান্ড ও ডিশ সংযোগও দেয়া হয়েছে। একাধিক অনলাইন টিভিতে সার্বক্ষণিক রোহিঙ্গাদের খবর সম্প্রচার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের রয়েছে ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজ। এসব গ্রুপ এবং পেজে সার্বক্ষণিক ছবি, ভিডিও ও লেখা আপলোড করা হচ্ছে। ফলে যে কোনো ঘটনা মুহূর্তেই সব রোহিঙ্গার কানে পৌঁছে যায়। সমকাল

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো মিথ্যা ভিডিও বার্তা ও সংবাদে রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রভাবিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসরেও একই মত। এ ধরনের ঘটনায় যে কোনো সময় বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উখিয়া ও টেকনাফে নিবন্ধিত ৩৪টি ক্যাম্পের ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার মধ্যে অর্ধেকে রয়েছে মোবাইল ফোন। স্থানীয় বাসিন্দাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিম রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিয়েছে। কয়েকটি মোবাইল অপারেটরও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ৫ লাখের বেশি মোবাইল সিম ব্যবহার করছে রোহিঙ্গারা।

২০১৭ সালে ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা না দিতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দেয়। অপারেটরগুলোকে এ বিষয়ে চিঠিও পাঠায় বিটিআরসি। এ ছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিম বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধের জন্য বিভিন্ন সময় নির্দেশনা দেয় সরকার।

এদিকে, মিয়ানমার সীমান্তের টেকনাফ, উখিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ারগুলোর আওতা মিয়ানমারের ভেতরে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দিয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ওই রিপোর্টে বলা হয়, এই নেটওয়ার্কের কারণে বাংলাদেশি বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের সিমকার্ড ব্যবহার হচ্ছে মিয়ানমারের ভেতরেও। তাই সব অপারেটরের টাওয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে সুপারিশ করে গোয়েন্দা সংস্থাটি। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে দেয়ারও অনুরোধ করা হয়। এ ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

এ ব্যপারে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আশ্রয় গ্রহণের সময় টেকনাফের এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করে। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার কর্ণপাত করেনি।

এ ব্যাপারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত। রোববারও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মিয়ানমারের ভেতরে বাংলাদেশের মোবাইলের নেটওয়ার্কের বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এটা টেকনিক্যাল বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।

সম্পাদনা : আহমেদ শাহেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়