Amqhi Bfehet : আগে সুন্দরবন, পরে আমাজন। সুন্দরবন কাদের হাতে ধ্বংস হচ্ছে, কীভাবে ধ্বংস হচ্ছে এসব কারওই অজানা নয়। অথচ এক লাফে চলে গেলাম আমাজনে। আবার দেশের রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধানই যেখানে হলো না সেখানে সবার লাফালাফি শুরু হলো কাশ্মীর নিয়ে। বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে কথা বললে যে সুবিধাগুলো রয়েছে যেমন : জেল নেই, রিমান্ড নেই, গুম হওয়ার মতো ঝুঁকি নেই। কিন্তু প্রেক্ষাপট যখন দেশীয় ইস্যুতে আবর্তিত হয় তখন আসে জেলের ভয়, রিমান্ডের ভয়, গুম হওয়ার ভয়। সব হলো চামচি করেই আখের গোছানোর ধান্দা। এখানে সত্য বলা কিংবা নিজেকে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর মানেই হলো নিজের জমদূত নিজেই ডেকে আনা। এখানে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে ভাঁড়ামী কিংবা দালালী নেই। সত্য বলা মানুষগুলোও আজকাল মেপে কথা বলেন। একটু এদিক-সেদিক হলে খেল খতম।
অনেকে আবার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ফেসবুকীয় মাপা বাকস্বাধীনতা ছাড়া কার্যত বাকস্বাধীনতা নেই এদেশে। এসব বলার পর অনেকেই প্রশ্ন করে বসবে, ‘কাশ্মীর কিংবা আমাজন ইস্যুতে নিজেরা সোচ্চার হওয়া আমাদের মানবিক দায়িত নয় কী?’ উত্তরে বলবো নিজ চরকায় তেল না দিয়ে অপরের চরকায় তেল দেয়া আর রোহিঙ্গা কিংবা সুন্দরবন ইস্যুকে বাদ দিয়ে কাশ্মীর কিংবা আমাজন ইস্যু নিয়ে লাফানো একই কথা। দেশে অগণতান্ত্রিক মতাদর্শের চর্চা, সিন্ডিকেটের চর্চা, মানিলন্ডারিং, অমীমাংসিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি, পরিবেশ দূষণ, শিল্পক্ষেত্রে বৈশ্বিক ধস (পোশাক ও চামড়া শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ) শেয়ারবাজারে ধস, ব্যাংক লুট, ঋণখেলাপি, জীবনযাত্রার নি¤œমান, নি¤œমানের সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক বিপর্যয়, বিচার বিভাগীয় বিপর্যয়, আইনি বিশৃঙ্খলা, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, মানহীন শিক্ষা... (এভাবে চলতেই থাকবে) এতো কিছুর পরও বিদেশি ইস্যু নিয়ে মানুষের যতো হাঙ্গামা। এদেশের সব মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যারা দেশের কথা দেশের মানুষের কথা ভাবছে তাদের জয় হোক। শোষণ, বঞ্চনার বিরুদ্ধাচারণে কেঁপে উঠুক শোষকদের হৃদয়। আবারও বাংলার রাজপথ অধিকার আদায়ের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠুক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :