শিরোনাম
◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৩৭ দুপুর
আপডেট : ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১১:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রংপুর-৩ আসনের উপ নিবাচনে লাঙ্গল পাচ্ছেন কে

তৌহিদ হোসেন : সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনে অর্ধডজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এর মধ্যে এরশাদপুত্র সাদ এরশাদসহ পরিবারের ৪ সদস্য রয়েছেন। তাদের একজন মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। যুগান্তর

এ আসনে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য ৮ সদস্যের পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন করেছে জাতীয় পার্টি। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আহ্বায়ক ও মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এর সদস্য সচিব। বোর্ডের সদস্যরা হলেন- পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি ও লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি। আজ পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে।

পরিবার থেকে মনোনয়ন দৌড়ে থাকা ব্যক্তিরা হলেন- এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, ভাতিজা (ছোটভাই সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন লালুর ছেলে) সাবেক এমপি আসিফ শাহরিয়ার, ভাতিজা (ফুপাতো ভাই সাফায়েত হোসেনের ছেলে) মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ভাগনি (মেরিনা রহমানের মেয়ে) মেহেজেবুন্নেছা রহমান টুম্পা। পরিবারের বাইরে থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি এসএম ফখর- উজ-জামান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি এস এম ইয়াসির। জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত এ আসনে মনোনয়ন পেলেই বিজয়ী হবেন ধরে নিয়ে লবিং-তদবির করছেন তারা।

দলীয় সূত্র বলছে, সাদ এরশাদের জন্য লবিং করছেন তার মা সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। বিগত নির্বাচনে তাকে কুড়িগ্রাম সদর আসনে প্রার্থী করার চেষ্টা করেছিলেন। রওশন চাইছেন এরশাদের উত্তরাধিকারী হিসেবে ছেলে সাদ রংপুরে প্রার্থী হোক। সূত্র আরও জানায়, স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় অনেক নেতা তাকে নিয়ে আপত্তি করলেও রওশনের সামনে গিয়ে বলার মতো শক্তি-সাহস তাদের নেই।

ঈদে রংপুরে অবস্থানকালে সাদ এরশাদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি প্রার্থী হতে চাই। কথাবার্তা চলছে। বাকিটা নির্ভর করছে দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর। দেখি কী হয়। তবে আমি আশাবাদী।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচিত হলে বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চাই। অগ্রাধিকার পাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত। মাদকাসক্তদের সমাজের মূলধারায় যুক্ত করে কাজে লাগাতে চাই।’

সাবেক এমপি আসিফ শাহরিয়ার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় প্রচার শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দলের মনোনয়ন চাইবেন, দল যদি মনোনয়ন না দেয়, তাহলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন। আসিফ শাহরিয়ার বলেন, ‘মাঠে ডিমান্ড রয়েছে, রংপুরের লোক চাইছেন তাই প্রার্থী হচ্ছি। রংপুরের লোকজন কোনো বহিরাগত প্রার্থীকে মেনে নেবে না। চাচা বেঁচে থাকলে ভিন্ন কথা ছিল, কিন্তু এখন মানুষ আবোলতাবোল প্রার্থীকে নেবে না। বহিরাগত প্রার্থী দেয়া হলে জাতীয় পার্টির জন্য আত্মঘাতী হবে।’ নির্বাচিত হতে পারলে জনগণের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে চান তিনি।

খালেদ আক্তার পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। এরশাদের সান্নিধ্যে থাকার কারণে অনেকে তাকে সমীহ করে চলতেন। পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তার প্রভাব রয়েছে। তিনি বিগত সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে খালেদ আক্তার বলেন, এটা দলের সিদ্ধান্ত। দল সিদ্ধান্ত দিলে আমি নির্বাচন করব।

ভাগনি মেহেজেবুন্নেছা রহমান টুম্পার পৈতৃক ভিটা নীলফামারীর সৈয়দপুরে। বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সঙ্গে। দলীয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি।

এসএম ইয়াসির আশির দশকে ছাত্রসমাজের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এরপর ধাপে ধাপে এগিয়ে রংপুর মহানগরে প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি করেন। বর্তমানে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি। কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টিতে দীর্ঘদিন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুর অল্প কয়েকদিন আগে এরশাদ তাকে যুগ্ম মহাসচিব করেন। এসএম ইয়াসির বলেন, আমার মনোনয়নের বিষয়ে ওয়ার্ড, থানা ও মহানগর কমিটির নেতারা কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের আশীর্বাদ নিয়ে মাঠে কাজ করছি। নির্বাচিত হতে পারলে রংপুরকে ঢেলে সাজাতে চাই।

রংপুর ডেইরির প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি এসএম ফখর উজ-জামান পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। এরশাদের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত মকবুল হোসেন ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি তিনি। পার্টির ফান্ডের বড় ডোনার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। একাধিক নির্বাচনে পাশের আসন রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে প্রত্যেক দফায় ধরাশায়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীর কাছে। ফখর উজ-জামান বলেন, পরিবারের বাইরে থেকে যদি মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে আমার পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, জাতীয় পার্টি বড় দল, অনেকে মনোনয়ন চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে ৪ জনের নাম চাওয়া হবে, তা থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে পার্লামেন্টারি বোর্ড। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়