হ্যাপি আক্তার : কারো কাছে নালিশ নয় বরং মানবাধিকারের অংশ হিসেবেই বিদেশিদের কাছে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি উত্থাপন করবে দলটি। নেতারা বলছেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতার কারণেই তাদের এই পথে হাঁটতে বাধ্য করছে। ডিবিসি নিউজ ৯:০০
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির উপায় খুঁজতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাবার ঘোষণার পরই কড়া সমালোচনায় আসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলীয় প্রধান কারাগারে থাকায় এবারও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মূল প্রতিপাদ্য তার মুক্তির বিষয়টি। কিন্তু আন্দোলন ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৮ মাসেও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। তবে, এবার তার মুক্তির উপায় খুঁজতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর কাছে যাওয়াকেই যুক্তিসঙ্গত মনে করছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেন, যখন কোনো রাষ্ট্রে আইনগত সুবিধা পাওয়া যায় না, রাষ্ট্রে আন্দোলনের কেনো সুযোগ দেয়া হয় না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যখন আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়, তখন আন্তর্জাতিক ফোরামে না গিয়ে আর অন্য কোনো উপায় থাকে না।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও তাকে যেভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। তাকে ঠিকমত চিকিৎসা দেয়া হয় না। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। তাকে মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন অন্ধকার কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববাসীর নজরে আনার জন্যই দলের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিদেশীদের কাছে অভিযোগ বা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা নয়, মানবাধিকার রক্ষায় যে কেউ অন্যের কাছে যেতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, বেগম জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। অযৌক্তিক মামলা দিয়ে তাকে জেলে রেখে দিবে মাসের পর মাস। আবার এর বিচারও আমরা পাবো না, তা তো হতে পারে না। আবার বিচারের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেতে পারবো না এটাতো হতে পারে না। সম্পাদনা : রাজু আহ্সান/সুতীর্থ
আপনার মতামত লিখুন :