মঈন মোশাররফ : ভারতের দেয়া ঋণের টাকায় ওই দেশ থেকেই সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তবে ভারত থেকে কি ধরণের অস্ত্র কেনা হবে এখনো সেই সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ডয়চে ভেলে
বুধবারর ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ভারত পাঁচশ মিলিয়ন ডলার (৫০ কোটি ডলার) লাইন অব ক্রেডিট দিয়েছে। তারা বলছে, আপনারা এখন আমাদের সামরিক সরঞ্জাম কেনেন। ভারতে এখন অনেকগুলো ডিফেন্স কোম্পানি গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি আমরা চীন থেকেও মাল্টিপল রেঞ্জের কিছু অটোমেটিক ফায়ার আর্মস কিনেছি। ভারত বলছে এগুলো তাদের কাছ থেকে কিনতে। আমরা বলেছি, তোমাদের কাছ থেকে আমরা সামরিক সরঞ্জাম কিনবো। আমাদের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে জানাবো, কী ধরনের সরঞ্জাম আমরা কিনতে পারি, তারাই সেই লিস্ট তৈরি করবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমেরিকা, চায়না, ইউকে, টার্কি থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনি। যেহেতু আগে কোনোদিন ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনিনি তাই আমাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠাগুলো দেখছে ভারত থেকে কী ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কেনা যায়।
মন্ত্রী জানান, অফিসিয়াল কমফার্মেশন নেই, আমরা ভারত থেকে আমরা একটা সাবমেরিন কিনতে চেয়েছিলাম । কিন্তু তারা সাবমেরিন দেবে না।
ভারত থেকে অস্ত্র কিনলে রাজনৈতিক বিরোধিতা হতে পারে কি না, এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না। কারণ আমরা আমাদের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করবো। ভারত শুধু আমাদের দেশে নয়, অন্য দেশেও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে, অস্ত্র বিক্রিতে তাদের সুনাম আছে। তাদের বাস-ট্রাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেনে, আমরাও কিনি। আমাদের দেশে ভারতবিরোধী একটি মত থাকলে ভারতের ট্রাক-বাসের কেউ বিরোধিতা করে না। আমরা আগে কখনো ভারতীয় সামরিক সরঞ্জাম কিনিনি। এখন ওরা আমাদের টাকা দিয়েছে, এখন আমরা ওদের কাছ থেকে কিনবো।
এসব সরঞ্জাম কীভাবে কেনা হবে তার ব্যাখ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কী কিনব এখন তা চিহ্নিত করতে হবে। আমরাতো যেই-সেই জিনিস কিনবো না। খুবই সতর্কতার সঙ্গে কিনতে হবে।
ঋণের টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে। সুতরাং আমাদের খুবই কেয়ারফুল থাকতে হবে। বাংলাদেশকে এখন অনেক দেশই টাকা দিতে চাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সবার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে না। আমরা সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত, রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :