লিহান লিমা: এই সপ্তাহের শেষের দিকে শতশত বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক অনুদান কমানোর পরিকল্পনা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
সিএনএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেমোক্রেট ও কনজারভেটিভ, উভয় দলের অনেক আইনপ্রণেতা ও বৈদেশিক নীতি বিষয়ক পরামর্শকরা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট থেকে এই তহবিল প্রত্যাহারের প্রকাশ্যে বিরোধীতা করেছেন। কিন্তু আড়ালে দুই দলের কংগ্রেস সদস্য ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা এই তহবিল ছাঁটকাটের জন্য হোয়াইট হাউসের কাছে সুপারিশ করেছেন। এর পরিমাণ হতে পারে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করে, এটি অপব্যয় এবং মার্কিন নীতির ওপর সমর্থনসহ আরো শর্তসাপেক্ষেই বৈদেশিক অনুদান দেয়া উচিত। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, কংগ্রেসের কোন অনুমোদন ছাড়াই বৈদেশিক অনুদান বাতিলের সম্পূর্ণ এখতিয়ার তাদের রয়েছে।
গত বছর হোয়াইট হাউস বৈদেশিক অনুদান কমাতে চাইলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর বাধাসহ অন্যান্যদের তোপের মুখে এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। তবে এই বছর তহবিল কমানো নিয়ে প্রকাশ্যে কোন কথা বলেন নি পম্পেও।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, অফিস অব ম্যানেজম্যান্ট এন্ড বাজেট তহবিল ছাঁটকাটের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে কাজ করছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে এটি জনসম্মুখে আনা হতে পারে। তিনি আরো বলেছেন, এই তহবিল ছাঁটকাটের মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী, হন্ডুরাস, গুয়েতেমালা ও এলসালভাদরে অনুদান এবং সাংস্কৃতিক প্রকল্পগুলোতে অনুদান। তবে ফার্স্ট ডটার ইভানকা ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের গৃহিত প্রকল্প এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য তহবিলের অনুদান এই ব্যয়সংকোচনের মধ্যে থাকবে না। ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্টের প্রকল্পগুলোর অনুদানে যে হাত দেয়া হবে না এতে বিস্ময়ের কিছু নেই।
সম্পাদনা : আসিফুজ্জামান পৃথিল
আপনার মতামত লিখুন :