শিরোনাম
◈ ইসরায়েলে ফাত্তাহ-১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান: আইআরজিসি ◈ ইরান কখনো আপস করবে না: খামেনি ◈ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, প্রস্তুত গুলশানের বাড়ি ◈ ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিদেশে যেভাবে কাজ করে! ◈ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা 'বিবেচনা' করছেন ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের ঘাঁটি থেকে বের হয়েছে আমেরিকার বোমারু বিমান ◈ দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ◈ ইসরা‌য়ে‌লের হু‌শিয়া‌রি: যুদ্ধাপরাধ বন্ধ না করলে সাদ্দামের মতোই ইরা‌নের স‌র্বোচ্চ ‌নেতার জন্য ফাঁসির মঞ্চ প্রস্ত‌ত ◈ ইসরাইলে এখন পর্যন্ত যে হামলা হয়েছে তা সতর্কতামূলক, শিগগিরি শাস্তিমূলক অভিযান শুরু হবে: নতুন সেনাপ্রধা‌নের কড়া বার্তা  ◈ ইরান কি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করতে পারবে, করলে বিশ্বে এর প্রভাব কেমন হবে? ◈ বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের  কোচিং স্টাফ বদ‌লে যা‌চ্ছে!

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:৫৫ রাত
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ০৩:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু আসলে কারা?

রহমান রোকন : এক. সাপের বাচ্চা বড় হলে সাপই হয়। হাতির বাচ্চা বড় হলে হাতি হয়। রূঢ় শোনালেও বলতে হয় এ অঞ্চলের মানুষের বাচ্চাগুলো বড় হলে মানুষ হয় না। বস্তুত মানুষের চেহারায় জন্ম নিলেও প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠা দুঃসাধ্য। বিশেষত ঔপনিবেশিক শোষণে জর্জরিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্ষেত্রে এই দানবিক সংকট প্রকটাকারে দেখা যায়। সমস্যাক্রান্ত জনপদগুলো বস্তুত ঐতিহাসিকভাবে অগণিত জাতি-গোত্র-সম্প্রদায় কর্তৃক এক প্রকার ধর্ষিত বলা যায়। ফলত সাধারণ সংকর প্রজাতির যে অসাধারণ কম্পোজিশন থাকে সেটি এখানে একেবারেই নেই। মানবিক বৈশিষ্ট্যগুলো বরং কিম্ভূত অস্বাভাবিক। এ কারণে আচরণে হাস্যকর বৈপরিত্য দ্বৈততা ভ-ামি ভীরুতা স্থূলতা ইত্যাদির প্রকাশ পায়।

দুই. সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু আসলে কারা? যারা বিত্তহীন তারাই সংখ্যালঘু। যদিও জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে তাদের সংখ্যাটা বেশি। সংখ্যালঘুরা শোষিত হয়ে থাকে সংখ্যাগুরু দ্বারা। এই সংখ্যাগুরু আনুপাতিক হারে কম। সুতরাং প্রচলিত সংজ্ঞা এখানে বদলে গেছে। এখন সংখ্যা দিয়ে আর সংখ্যালঘিষ্ট সংখ্যাগরিষ্ট বিবেচ্য নয়। অপরদিকে মানসিক উৎকর্ষতার সাধিত স্বপ্নে যারা নান্দনিক মূল্যবোধে সভ্যতা নির্মাণের ইচ্ছা পোষণ করেন তারাই এই সমাজে সংখ্যালঘু। তাদের স্বপ্ন সাধ অভিলাষ নান্দনিক বোধ প্রত্যহ সস্তা জনপ্রিয় সংখ্যাগুরুর প্রবল আধিপত্যে নিহত হয়। এখানে অবশ্য আনুপাতিকহারে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যাগুরুই। ফলত সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুর সম্প্রদায়গত জাতিগত গোষ্ঠীগত পরিধি ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের কোথাও একজনও যদি বিত্তবান যদি থাকেন তিনি সেখানে সংখ্যালঘু নন। বিপরীতে উৎকর্ষ মননের মানুষ মানে সর্বদাই সংখ্যালঘু। আর বিশ্বব্যাপী বর্ণভেদে ধর্মভেদে সম্প্রদায়ভেদে যে সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুর বিষয়টি সামনে আনা হয় সেটি ¯্রফে রাজনৈতিক বাণিজ্যিক কারণে প্রচারিত বিজ্ঞাপিত। অদৃশ্য এবং গূঢ়ার্থে বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহৃত। বিচিত্র বঙ্গের মনোবৈকল্যে সাম্যবাদী কক্ষের কিবোর্ড নকশা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়