শিরোনাম
◈ কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৫, আহত ৭ ◈ নাইজেরিয়ায় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, ১১ মুসল্লির মৃত্যু ◈ র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে, এমন দাবি মিথ্যা: যুক্তরাষ্ট্র ◈ সিলেটে ফিলিং স্টেশনে আগুন ◈ শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ◈ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানি চেষ্টার নিন্দা জানালেন শেখ হাসিনা ◈ শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন  ◈ আইনি সহায়তা দিতে ‘পরামর্শ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দেবে সরকার ◈ মিঠাপানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর  ◈ কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে পশু বেশি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:৪২ দুপুর
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সারাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ২৪ হাজার ঘর নির্মাণ করবে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়

রমজান আলী : সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে হলেও এখনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য হাতে পায়নি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্য হাতে পাওয়ার পরই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ২৪ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করে দেবে মন্ত্রণালয়।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের সকল নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, এবাবের বন্যায় ২৮টি জেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কুড়িগ্রাম, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জসহ মোট ৮ জেলার মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব জেলার অর্ধেকের বেশি এলাকা বন্যায় ডুবে যায়। ফলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে করা এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে এই বন্যায় ৭৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবচেয়ে বিপদে পড়ে সাড়ে তিন লাখ হতদরিদ্র।

এদিকে, বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসকগণ (ডিসি)। ১৪ আগস্ট এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত-সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. ফয়জুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আগে সে তথ্য লাগবে। এজন্য ডিসিদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিসিরা তথ্য সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন। আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে এ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

তিনি আরো বলেন, একটি প্রকল্পের অধীনে এ বছর মোট ২৪ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই এই প্রকল্পের অধীনে ঘর পাবেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত যারা এ প্রকল্পের আওতায় আসবে না তাদের জন্যও অন্যকোনো খাত থেকে সহায়তা করা যায় কি না সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি বলেন, এর আগে বিভিন্ন জেলার দুর্গত মানুষের মাঝে চাল, শুকনো খাবারসহ নগদ টাকা বিতরণ করেছে সরকার। এছাড়া পশুর জন্য বিতরণ করা হয়েছে গো-খাদ্য।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ত্রাণ) মো. আকরাম হোসেন বলেন, আমরা দুর্গত এলাকায় চাল, ডেউটিন, শুকনো খাবার ও নগদ টাকা বিতরণ করেছি। এখন পুনর্বাসনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা : মিঠুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়