শিরোনাম
◈ রাইসির নিখোঁজ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া ◈ দেশের ৫ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ◈ রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ◈ রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত, উদ্ধারে সহযোগিতা করবে বিভিন্ন দেশ ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভ‌রি এক লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা ◈ রাইসির মৃত্যু হলে দায়িত্ব পাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন ◈ পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে: আইজিপি ◈ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার  ◈ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো সরকারের প্রধান কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ উপজেলায় ভোট কম পড়ার বড় কারণ বিএনপির ভোট বর্জন: ইসি আলমগীর 

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ০৪:১৬ সকাল
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ০৪:১৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভুলে ভরা ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের ফল, আরো এক বছর সেশনজটের আশঙ্কা

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের ডিগ্রী ২০১৪-১৫ সেশনের ২য় বর্ষ বিএসএস বিভাগের ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ফলাফলে নানা অসংঙ্গতি ও ভুল ধরা পড়েছে। এরকম ভুলের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও প্রকাশিত ফলাফলে একই বিষয়ে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে তাদের এবং ভালো পরীক্ষা দিয়েও একই বিষয়ে ফেল করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, কবি নজরুল সরকারি কলেজে ডিগ্রী ২০১৪-১৫ সেশনের ২য় বর্ষ বিএসএস বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে ৩০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০০ জন শিক্ষার্থীই কোন না কোন বিষয়ে অকৃতকার্য হন। পরীক্ষায় উপস্থিত থাকলেও ফলাফলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অনুপস্থিত এসেছে। অকৃতকার্যের বিষয়টি বেশি ঘটেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৩য়, ৪র্থ এবং অর্থনীতি ৩য় পত্রে।

শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী অমলেন্দু পাল বলেন, আমরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে পরীক্ষার হাজিরা শীট নিয়েছি। সেখানে সব পরীক্ষায় উপস্থিতি থাকলেও রেজাল্টে অনেকের অনুপস্থিত এসেছে। অনুপস্থিতি বিষয়টি বাদ দিলে ৩০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে অনেকেই আছে যারা সকল বিষয়ে পাশ করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু কোন না কোন বিষয়ে সবাইকেই ফেল দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, কিছু দায়িত্বহীন শিক্ষক ও কর্মকর্তা ঢাবি’র বড় বড় চেয়ার দখল করে বসে আছেন। তারা নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত নন। অফিসে এসে বিনোদন আর অতিথিদের সঙ্গে খোশ গল্প করে সময় পার করেন।

তারা বলেন, বর্তমানে কতিপয় কিছু কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার দায়ভার শিক্ষার্থীদের নিতে হচ্ছে। অনেক শিক্ষক মনোযোগ দিয়ে খাতা মূল্যায়ণ করছেন না, ভালো পরীক্ষা দিলেও প্রত্যাশিত নম্বর দেয়া হয় না। সাত কলেজ শিক্ষার্থীকে বোঝা মনে করার কারণে পরীক্ষার ফলাফলে এমন চিত্র উঠে আসছে।

সাত কলেজের প্রধান ফোকাল পয়েন্ট ও কলেজের অধ্যক্ষ আইকে সেলিমুল্লাহ খন্দকার দেশের বাহিরে থাকায় শিক্ষার্থীরা সন্ধিহান হয়ে উপাধ্যক্ষের কাছে যায়। উপাধ্যক্ষ তাদের সমস্যা গুলো উল্লেখ করে কলেজে আবেদন পত্র জমা দিতে বলেন, কিন্তু কবে এই সমস্যার সমাধান দেয়া হবে সেব্যাপারে কিছুই জানাননি তিনি।

এদিকে গত ১৭ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত উক্ত বর্ষটির ৩য় বর্ষের ফরম ফিলাপের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা আগস্ট মাসের শেষের দিকে। খুব দ্রুত যদি সমস্যাটি সমাধান না করা হয়, তবে বর্ষটি ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে পারবে না। এতে আরো এক বছরের সেশনজটে পড়তে পারে কবি নজরুল কলেজের ডিগ্রী ২০১৪-১৫ সেশন ২য় বর্ষ বি.এস.এস. বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়