রাশিদ রিয়াজ : ইরান সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক নিশ্চিত করেছেন, তেহরানের ওপর তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশটির সরকার বছরে ৫ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আল-আরাবিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন চাপ অব্যাহত থাকবে। ইরানের ওপর তেল রফতানি ছাড়াও পেট্রো কেমিক্যাল, শিল্প ধাতব ও মূল্যবান ধাতব পণ্যের ওপরও নতুন করে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা চলছে তার ধকল দেশটির সরকারের পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না।
এদিকে ইরান বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও তেল রফতানি কমেনি এবং দেশটির তেল মন্ত্রী বিজান জাঙ্গানে বলেছেন গোপনে কিভাবে এ তেল রফতানি অব্যাহত রয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের কারণে প্রকাশ করবে না তার দেশ। ব্রায়ান হুক বলেন, ইরানের ওপর অব্যাহত চাপ প্রয়োগের লক্ষ্যই হচ্ছে যাতে দেশটির সরকারের আচরণে পরিবর্তন আনে। হুক আরো জানান, এধরনের চাপ সৃষ্টির পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সন্তষ্ট এবং তিনি মনে করেন ইরান এধরনের চাপ সহ্য করতে না পেরে নতি স্বীকার করবে। অবশ্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ সহ একাধিক নেতা বারবার বলে আসছেন কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না তেহরান।
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তেহরানের তাতে মার্কিন সরকার খুব খুশি বলে জানান ব্রায়ান হুক। হুক বলেন, শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বিশে^র নিরাপত্তার জন্যে ইরান হুমকি এবং তা হয় সরাসরি না হয় হিজবুল্লাহর মাধ্যমে। তিনি বলেন, কূনৈতিকভাবে সকল পথ পরিহার করছে ইরান এবং বর্তমানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরান সরকারের কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। ইরান তার প্রতিবেশি দেশগুলোকে ধারাবাহিকভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে তার আচরণে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।